ছবি:সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সৃষ্ট শূন্যতা কাটিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। গত ৮ আগস্ট তিনি ও আরও ১৩ জন উপদেষ্টা শপথ নেন। পরে আরও ৩ জন যুক্ত হলে ১৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ অন্তর্বর্তী সরকার কার্যক্রম শুরু করে। রাষ্ট্র সংস্কারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কাজ এগিয়ে চলছে।
সম্প্রতি এই সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর বৃদ্ধির দাবি সামাজিকভাবে আলোচিত হচ্ছে। গত ১২ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া একটি চিরকুটে লেখা ছিল, "ড. ইউনূস স্যারকে আরও ৫ বছর চাই - সাধারণ জনগণ। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।" চিরকুটটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এর কিছুদিন পর, ১৮ এপ্রিল রাজধানীর রাজু ভাস্কর্যের সামনে কয়েকজন যুবক অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর করার দাবিতে প্রতীকী অনশন করেন।
ঈদুল আজহার দিনেও এই দাবির প্রতিফলন দেখা যায়। শনিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নামাজের পর জনগণের সঙ্গে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় জনতার মাঝে থেকে একাধিকবার শোনা যায়, “স্যার আপনাকে ৫ বছর চাই”, “দালালদের কথা শুনবেন না, ৫ বছর স্যার”, এমন সব মন্তব্য।
নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা।
সবার উদ্দেশে শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন,
“সবাইকে আজকে একসঙ্গে ঈদের জামাতে পেলাম। সবাইকে ঈদ মোবারক জানালাম। সবাই এ পবিত্র দিনে দেশের মঙ্গলের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।”
এরপর তিনি নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে ময়দান ত্যাগ করেন। বিদায়ের সময় উপস্থিত জনতার শুভেচ্ছা ও সমর্থনের আহ্বান তাঁকে ঘিরে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে।
আঁখি
