
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) কোরবানির ঈদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে বলে দাবি করেছে। শনিবার (৭ মে) সন্ধ্যায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, রাজধানীর উত্তর অংশে ইতোমধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, “বর্জ্য অপসারণ তিন দিনব্যাপী চলবে। এবার আমরা ধীরে সুস্থে কাজ করছি, কারণ ডেডলাইন চাপিয়ে দিলে অনেক সময় সঠিকভাবে অপসারণ সম্ভব হয় না।”
স্বনির্ভর ব্যবস্থাপনা ও গতিশীলতা
ডিএনসিসির নিজস্ব সক্ষমতার ওপর ভর করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে জানিয়ে প্রশাসক বলেন, “দু-একটি সাব-কন্ট্রাক্ট ছাড়া বাকি সব কাজ উত্তর সিটি কর্পোরেশন নিজেই পরিচালনা করছে। এমনকি ক্যান্টনমেন্ট থেকেও ডাম্প ট্রাক নিয়ে সহায়তা নেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ গতিতে কাজ চলছে।”
বৃষ্টির চ্যালেঞ্জেও জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য
সারাদিন বৃষ্টিপাতের কারণে কাজের গতি কিছুটা কমলেও জলাবদ্ধতা রোধে সিটি কর্পোরেশন তৎপর ছিল বলে জানান তিনি। “মিরপুরের কয়েকটি এলাকায় সাময়িকভাবে পানি জমলেও তা পরে নেমে গেছে। সবমিলিয়ে আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি,” বলেন এজাজ।
সেবা পৌঁছেছে ঘরে ঘরে
এবারই প্রথমবারের মতো ডিএনসিসির সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পলিথিন ও ব্লিচিং পাউডার বিতরণ করেছে। আগে কাউন্সিলর অফিস থেকে রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে এই সামগ্রী নিতে হতো। এবার নিরপেক্ষ সেবার অংশ হিসেবে সব নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এই পরিষেবা।
ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা ও পাইলট প্রকল্প
আমিনবাজার ল্যান্ডফিল নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক জানান, “২০১৭ সালেই এই ল্যান্ডফিলের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এখনো এখানেই ময়লা ফেলা হচ্ছে।” তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৬১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ একর জমি যুক্ত করা হয়েছে। তবে এটিও স্থায়ী সমাধান নয়।
খোলা জায়গায় ময়লা ফেলা বন্ধে কয়েকটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, এবারের কোরবানির ঈদে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গতি, দক্ষতা ও জনসেবায় সিটি কর্পোরেশন ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। কার্যক্রম শেষে নগরবাসী এর সুফল বুঝতে পারবে।
Jahan