
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা এবার এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি। কোরবানির পর বিপুল সংখ্যক চামড়া সংরক্ষণের জন্য সরকার ও ব্যবসায়ী মহল প্রস্তুতি নিয়েছে। সারাদেশে এক লাখ টন লবণ সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৩০ হাজার টন লবণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এবার চামড়ার দাম নিয়ে ব্যাপক হতাশ। যদিও সরকার ঘোষিত গরুর চামড়ার দাম ১,৩০০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, বাস্তবে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত।
এমন কম মূল্যে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। অনেকে বলছেন, এই দামে চামড়া বিক্রি করে কোনোভাবেই লাভবান হওয়া সম্ভব নয়। কেউ কেউ ব্যবসাকে ব্যর্থ বলেও আখ্যায়িত করছেন।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকে প্রতি চামড়ায় ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনছেন। অনেকেই বলছেন, অভিজ্ঞতা ও কৌশলের অভাবে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা প্রতিবারই ঠকছেন। চামড়া প্রক্রিয়াকরণ ও গুণগত মান বোঝার ক্ষেত্রে দুর্বলতার কারণে তারা প্রকৃত দাম পাচ্ছেন না।
এদিকে পোস্তার আড়তদারদের মতে, চামড়ার বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই নানা সংকট চলছে। চামড়া রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চামড়ার চাহিদা আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে চামড়া রপ্তানি করলেও এখন কেবল চীনই বড় বাজার হিসেবে রয়েছে। ফলে রপ্তানি নির্ভর এই খাত এখন চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছে।
মিমিয়া