
ছবিঃ সংগৃহীত
অনেক সময় আমরা শরীরের বিভিন্ন অংশে হঠাৎ ফোলা দেখতে পাই, কিংবা এমন কোনো অংশ ফুলে উঠতে দেখি, যেটিকে আমরা সাধারণত অবহেলা করি। কিন্তু কিছু কিছু ফোলা ভবিষ্যতে মারাত্মক রোগের ইঙ্গিত হতে পারে, যেমন হাড়ের ক্যান্সার বা বোন ক্যান্সার। চলুন জেনে নেওয়া যাক—কোন লক্ষণগুলো দেখলে সতর্ক হওয়া উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
হাড়ের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ
-
হঠাৎ ফোলা ও দ্রুত বৃদ্ধি:
শরীরের যেকোনো অংশে হঠাৎ ফোলা দেখা দিলে এবং তা দ্রুত আকারে বড় হতে থাকলে সেটিকে অবহেলা করা ঠিক নয়। এটি ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের লক্ষণ হতে পারে। -
তীব্র ব্যথা:
অন্যান্য অনেক ক্যান্সারে ব্যথা পরে আসে, তবে হাড়ের ক্যান্সারে শুরুতেই তীব্র ব্যথা হয়। সাধারণ ব্যথার ওষুধে আরাম না পেলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। -
ওজন হ্রাস:
কোনো ডায়েট বা ব্যায়াম না করেও যদি শরীরের ওজন হঠাৎ করে কমে যায় (উদাহরণস্বরূপ, এক মাসে ওজনের ১০ শতাংশ কমে যাওয়া), তাহলে সেটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। -
ক্ষুধামান্দ্য ও দুর্বলতা:
খিদে না পাওয়া, শরীরে শক্তির অভাব, এবং সার্বিক দুর্বলতা—এই সাধারণ লক্ষণগুলোও ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে।
ক্যান্সার হওয়ার কারণ
-
জিনগত সমস্যা (Genetic Mutation)
-
বয়সজনিত ঝুঁকি
-
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস (ফাস্টফুড, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত চিনি)
-
তামাক ও মদ্যপান
-
রেডিয়েশন এক্সপোজার (যেমন, ঘনঘন এক্সরে বা সিটি স্ক্যান)
হাড়ের ক্যান্সারের ধরন
-
প্রাইমারি ক্যান্সার: হাড়েই শুরু হয় ক্যান্সার।
-
মেটাস্টেটিক ক্যান্সার: শরীরের অন্য অঙ্গের ক্যান্সার হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
চিকিৎসা ও করণীয়
-
আর্লি ডিটেকশন: শুরুতেই সনাক্ত করা গেলে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি এবং সার্জারির মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসা সম্ভব।
-
অ্যাম্পুটেশন: অগ্রসর পর্যায়ে গেলে হাত বা পা কেটে বাদ দিতে হতে পারে, তবে এতে ক্যান্সার ছড়ানোর ঝুঁকি কমে যায়।
-
প্যালিয়েটিভ কেয়ার: অ্যাডভান্স স্টেজে ব্যথা কমানো এবং রোগীর জীবনযাত্রার মান ধরে রাখাই মূল লক্ষ্য।
সতর্ক হোন
শরীরে হঠাৎ অস্বাভাবিক কিছু দেখা দিলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ, ক্যান্সার যদি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে, তাহলে সুস্থ জীবন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে অনেক বেশি।
ইমরান