
ছবিঃ সংগৃহীত
মানবদেহের সুস্থতা, মানসিক স্থিতি এবং কর্মক্ষমতার মূল ভিত্তিগুলোর একটি হলো ঘুম। শিশুকালে আমরা দিনের অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটালেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঘুমের সময় কমে আসে। কিন্তু কমে গেলেও ঘুমের প্রয়োজনীয়তা একটুও কমে না—বরং সঠিক সময়ে ও পরিমাণে ঘুম না হলে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শরীর ও মনের উপর।
ঘুমের ঘাটতির ভয়াবহ প্রভাব
বিশিষ্ট স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. অনুপম হোসেন বলেন, “আমরা যখন ছোট থাকি, তখন প্রায় ২২ ঘণ্টা ঘুমাই। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেটা কমে ১৮ ঘণ্টা, তারপর ১২ ঘণ্টায় নেমে আসে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঘুমের গুরুত্ব কমে না।“
আমেরিকান স্লিপ জার্নালের তথ্যমতে, একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, “দুঃখজনকভাবে, বর্তমান সময়ে রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন চালানোটা স্মার্টনেস। যে কারণে অনেকেই ঠিকমতো ঘুমান না। কেউ কেউ বলেন, আমি তো ৫ বা ৬ ঘণ্টা ঘুমালেই সুস্থ থাকি। এটা একটা মারাত্মক ভুল ধারণা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন নিরবিচ্ছিন্নভাবে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। এর ফলে শুধু সুস্থ ঘুমই নয়, বরং ঘুমজনিত বিভিন্ন রোগ যেমন দুঃস্বপ্ন, অনিদ্রা, মানসিক চাপ ইত্যাদিও অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়।”
সঠিক ঘুম না হলে দেখা দিতে পারে:
- ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন ও উদ্বেগ
- মেজাজ খিটখিটে হওয়া
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
- স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া
- কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়া
সুস্থ থাকার জন্য ঘুমকে গুরুত্ব দিন
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো এবং ঘুমানোর আগে মোবাইল বা স্ক্রিন থেকে বিরতি নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে ঘুমের মান বাড়ে। ভালো ঘুম মানেই ভালো স্বাস্থ্য, ভালো মন এবং দীর্ঘ জীবন।
পৃথী