ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পুষ্টিকর হলেও রাতে খাওয়া ঠিক নয়! সাবধান হোন এই ৫ খাবার থেকে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ৬ জুন ২০২৫

পুষ্টিকর হলেও রাতে খাওয়া ঠিক নয়! সাবধান হোন এই ৫ খাবার থেকে

ছবি: সংগৃহীত

সুস্থ শরীরের জন্য পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই। তবে সব খাবার সব সময় খাওয়া উপযুক্ত নয়। বিশেষ করে রাতের খাবারের বেলায় একটু বাড়তি সতর্কতা দরকার। কারণ দিনের শেষ এই খাবারই শরীরের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। পুষ্টিবিদদের মতে, রাতে হালকা, সহজপাচ্য খাবার খাওয়াই শ্রেয়। কিছু কিছু খাবার পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও রাতে খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

চলুন জেনে নিই এমন ৫টি খাবারের কথা, যা রাতের খাবারে এড়িয়ে চলা উচিত:

১. ফল ও ফলের রস 

ফল প্রাকৃতিক ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর হলেও রাতের খাবারে বেশি পরিমাণে ফল বা ফলের রস খেলে হতে পারে বিপদ। এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে, যার ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। তাছাড়া ফলের ফাইবার বদহজম ও পেটফাঁপা তৈরি করতে পারে।

২. পালং শাক 

পালং শাকে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার ও আয়রন, যা রাতের বেলায় হজমে অসুবিধা তৈরি করতে পারে। এতে থাকা অক্সালেট উপাদান অতিরিক্ত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পালং শাক দুপুরে খাওয়াই নিরাপদ।

৩. শসা ও বিট 

এই দুই সবজিই ঠান্ডা প্রকৃতির। এতে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় রাতে খেলে ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ অনুভব হতে পারে। ঘুমের মাঝে বারবার উঠতে হলে ঘুমের পরিপূর্ণতা নষ্ট হয়, যার প্রভাব পড়ে সারা দিনের কর্মক্ষমতায়।

৪. অঙ্কুরিত ছোলা 

অঙ্কুরিত ছোলায় রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও জলীয় উপাদান। যদিও এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ ও হজমের জন্য ভালো, তবুও রাতের বেলায় খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা হতে পারে। যাদের হজম দুর্বল, তাদের জন্য এটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ।

৫. দই 

দই পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং প্রোবায়োটিক উপাদানে ভরপুর হলেও রাতে দই খেলে অনেকের হজমে সমস্যা হয়। বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডাজনিত সমস্যা বা সাইনাস আছে, তাদের ক্ষেত্রে দই রাতে না খাওয়াই ভালো। খেতেই হলে কম ফ্যাটযুক্ত দই খান এবং রাতে নয়, দুপুরে গ্রহণ করুন।

সঠিক সময়ে সঠিক খাবার খাওয়া শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে। পুষ্টিকর খাবার বলেই যে তা সব সময় খাওয়া যাবে—এ ধারণা ভুল। বিশেষ করে রাতে সহজপাচ্য, হালকা খাবার গ্রহণ করাই স্বাস্থ্যকর জীবনধারার চাবিকাঠি।
 

Mily

×