ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যে ৬টি ভুলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে—ডাক্তারের দেওয়া পরামর্শ এখনই জেনে নিন

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ৬ জুন ২০২৫

যে ৬টি ভুলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে—ডাক্তারের দেওয়া পরামর্শ এখনই জেনে নিন

ছবি: সংগৃহীত

ইউরিক অ্যাসিড শরীরের একটি বর্জ্য পদার্থ, যা পিউরিন নামক যৌগ ভাঙার ফলে তৈরি হয়। সাধারণত এটি রক্তের মাধ্যমে কিডনিতে পৌঁছে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। তবে কিডনি যদি ঠিকভাবে তা বের করতে না পারে, তাহলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিড জমে গিয়ে হাইপারইউরিসেমিয়া তৈরি করে। এতে হাড়ের সংযোগস্থলে স্ফটিক জমে গিয়ে দেখা দেয় গাউট নামক আর্থ্রাইটিস।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্র ২০% হাই ইউরিক অ্যাসিড আক্রান্ত ব্যক্তিরই গাউট দেখা দিলেও এটি সময়মতো নিয়ন্ত্রণ না করলে জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

যাদের ঝুঁকি বেশি:

  • স্থূলতা

  • হাইপোথাইরয়েডিজম

  • সোরিয়াসিস

  • ক্যানসারের কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন

ইউরিক অ্যাসিড কমানোর প্রাকৃতিক উপায়:

১. কম পিউরিনযুক্ত খাবার খান:
কলিজা, শেলফিশ, টুনা, অ্যাসপারাগাস, পালং শাক ইত্যাদিতে পিউরিন বেশি থাকে। এদের এড়িয়ে চলা জরুরি। পরিবর্তে বাদাম, ডিম, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার ও ফলমূল খেতে পারেন।

২. ভিটামিন সি নিন:
৫০০ মি.গ্রা. ভিটামিন সি প্রতিদিন গ্রহণ করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমতে পারে (গড়ে ০.৫ মি.গ্রা./ডিএল)। তবে গাউট আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এটি সবসময় কার্যকর নাও হতে পারে।

৩. অ্যালকোহল ও চিনি এড়িয়ে চলুন:
বিয়ার, মদ ও চিনিযুক্ত সফট ড্রিংক ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়। ফলে এসব পানীয় পরিহার করাই ভালো।

৪. কফি খান:
প্রতিদিন ৪-৫ কাপ কফি খেলে গাউটের ঝুঁকি ৪০% পর্যন্ত কমে। তবে অতিরিক্ত কফি খেলে মাথাব্যথা, ঘুম না হওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

৫. ওজন কমান:
ওজন বেশি হলে কিডনির কাজ ব্যাহত হয়, ফলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ওজন ১০ কেজি কমালে ইউরিক অ্যাসিড ০.৩ থেকে ১.৯ মি.গ্রা./ডিএল পর্যন্ত কমতে পারে।

৬. কিছু ওষুধ এড়িয়ে চলুন:
ডাইউরেটিকস, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট ও লো-ডোজ অ্যাসপিরিন ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে। এসব ওষুধ নিচ্ছেন কিনা তা আপনার চিকিৎসককে জানানো জরুরি।

সুষম খাদ্যাভ্যাস, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ওষুধ ছাড়া তা সম্ভব নাও হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড সংক্রান্ত উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

আবির

×