
ছবি: সংগৃহীত
প্রতিদিন আমরা নানান ব্যস্ততায় শরীরের দিকে তেমন নজর দিতে পারি না। অথচ সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে আমাদের হাতের কাছেই থাকা সহজলভ্য কিছু খাবারে। এমনই একটি ফল হলো পেয়ারা। দাম কম, সহজে পাওয়া যায় এবং স্বাদে অনন্য—তবু এই ফলটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।
প্রতিদিন মাত্র একটি পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে ৯টি বড় ধরনের শারীরিক সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে হজম শক্তি, হৃদরোগ প্রতিরোধ, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা—সব কিছুতেই কার্যকর এই ফলটি।
চলুন জেনে নিই, কেন প্রতিদিন একটি পেয়ারা খাওয়া আপনার দৈনন্দিন স্বাস্থ্য রক্ষায় এক দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
পেয়ারার একটি প্রধান উপাদান হলো ভিটামিন সি, যা দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। একটি পেয়ারা একটি কমলার তুলনায় বেশি ভিটামিন সি সরবরাহ করে।
২. হজমে সহায়ক
পেয়ারা ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য রক্ষা করে।
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
পেয়ারা খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে রক্তপ্রবাহ উন্নত করে। নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
৪. চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
পেয়ারার ভিটামিন এ চোখকে সুস্থ রাখে এবং বয়সজনিত দৃষ্টিশক্তির অবনতির ঝুঁকি কমায়।
৫. ওজন কমাতে সহায়তা করে
পেয়ারা ক্যালরিতে কম এবং ফাইবারে বেশি। এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, ফলে ক্ষুধা কমে যায়।
৬. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী পেয়ারা। এর ফাইবার শর্করার শোষণ ধীর করে, ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল থাকে।
৭. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়
পেয়ারায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও বয়সের ছাপ পড়ে না সহজে।
৮. হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে
পেয়ারা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামে সমৃদ্ধ, যা হাড়কে শক্তিশালী রাখে। নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সহায়ক।
৯. মানসিক চাপ কমায়
পেয়ারায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ুকে শান্ত করে ও মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেয়। এটি একটি প্রাকৃতিক স্ট্রেস রিলিভার হিসেবেও কাজ করে।
মুমু ২