
ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনেকেই প্রায়ই অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করেন। এটি শুধুমাত্র ঘুমের অভাব নয়, বরং বিভিন্ন কারণের ফলাফল হতে পারে। ক্লান্তির ১১টি সম্ভাব্য কারণ ও তাদের সমাধান নিচে তুলে ধরা হলো:
১. পুষ্টির ঘাটতি
আয়রন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদির ঘাটতি শরীরের শক্তি উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে, যার ফলে ক্লান্তি অনুভূত হয়।
২. মানসিক চাপ
দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা ক্লান্তির অন্যতম কারণ।
৩. স্বাস্থ্যগত সমস্যা
ডায়াবেটিস, থাইরয়েড সমস্যা, হৃদরোগ, অ্যানিমিয়া ইত্যাদি রোগ ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
৪. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি ও ফাস্ট ফুড খাওয়া রক্তে শর্করার ওঠানামা ঘটায়, যা ক্লান্তি সৃষ্টি করে।
৫. ক্যাফেইন
অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ ঘুমের গুণমান কমিয়ে দেয়, ফলে পরদিন ক্লান্তি অনুভূত হয়।
৬. পানিশূন্যতা
পর্যাপ্ত পানি না পান করলে শরীরের কোষগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, যার ফলে ক্লান্তি দেখা দেয়।
৭. অতিরিক্ত ওজন
অতিরিক্ত ওজন শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
৮. অনিয়মিত জীবনযাপন
অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচি, ব্যায়ামের অভাব ও অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ক্লান্তি বাড়িয়ে তোলে।
৯. ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
১০. অতিরিক্ত ব্যায়াম
অতিরিক্ত বা অনিয়ন্ত্রিত ব্যায়াম শরীরকে ক্লান্ত করে তুলতে পারে।
১১. অনিদ্রা
ঘুমের ব্যাঘাত বা অনিদ্রা দীর্ঘমেয়াদি ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
সমাধান:
-
পর্যাপ্ত ও নিয়মিত ঘুম নিশ্চিত করুন।
-
সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন।
-
নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
-
মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম অনুশীলন করুন।
-
পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
-
ক্যাফেইন ও চিনি গ্রহণ সীমিত করুন।
যদি দীর্ঘমেয়াদি ক্লান্তি অনুভব করেন, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
পৃথী