
গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ নারীকেই পোহাতে হয় নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা। এর মধ্যে অন্যতম হলো মাথা ঘোরা, বমি ভাব, খাওয়ায় অরুচি এবং চরম দুর্বলতা। প্রসূতির শরীরে আয়রনের ঘাটতি শুধু মায়ের জন্যই নয়, শিশুর জন্যও হতে পারে মারাত্মক ঝুঁকির কারণ এমনটাই জানিয়েছেন গাইনকোলজিস্ট ও অবসটেট্রিশিয়ান ডা. বেগম নাসরিন।
তিনি বলেন, “প্রায় প্রতিটি গর্ভবতী নারীই কিছু না কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে যান। কারও মাথা ঘোরে, কারও বমি বমি ভাব থাকে, আবার অনেকেই কিছু খেতে পারেন না। এর মাঝে যদি আয়রনের ঘাটতি থাকে তাহলে সমস্যাটা আরও গুরুতর হয়ে যায়। গর্ভবতী নারী অনেক বেশি ক্লান্তি অনুভব করেন, দুর্বল হয়ে পড়েন এবং ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েন।”
ডা. নাসরিন আরও বলেন, “এই ধরনের দুর্বলতা শুধু মায়ের নয়, বাচ্চার ওপরও সরাসরি প্রভাব ফেলে। যেমন, বাচ্চার স্বাভাবিক গ্রোথ (বৃদ্ধি) ব্যাহত হয়। আমাদের দেশে অনেক শিশুই জন্মের সময় লো বার্থ ওয়েট নিয়ে জন্ম নেয় মানে স্বাভাবিক যে ওজন থাকার কথা, তা থাকে না।”
তিনি জানান, “জন্মের সময় যদি শিশুর ওজন ২.৫ কেজি হয়, তাহলে সেটিকে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ধরা হয়। এর চেয়ে কম হলে তাকে বলা হয় লো বার্থ ওয়েট বেবি। এই ধরণের বাচ্চাদের আমরা বলি গ্রোথ রিটার্ডেড বা FGR (Fetal Growth Restriction) বেবি। এই বাচ্চাগুলোর জন্মের পর নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চিকিৎসা, আয়রন সাপ্লিমেন্ট এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই এই ঝুঁকি কমানো সম্ভব। মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গর্ভাবস্থার প্রতিটি ধাপে সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসার কোনো বিকল্প নেই।
মিমিয়া