ছবিঃ জনকণ্ঠ
সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়াশিল্প নগরের ট্যানারিগুলোতে কোরবানির পশুর চামড়া প্রবেশ করতে শুরু করেছে। শনিবার রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত শিল্পনগরে ৮৪ হাজার ৮৫৭ পিস কাঁচা চামড়া প্রবেশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিসিক চামড়া শিল্প নগরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহরাজুল মাঈয়ান।
তিনি জানান, ৩৫৪টি ট্রাকে করে এসব কাঁচা চামড়া প্রবেশ করেছে ট্যানারিগুলোতে।
চামড়া শিল্পনগর ঘুরে দেখা যায়, দুপুর থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক ও পিকআপে করে আনা কাঁচা চামড়া এই শিল্পনগরে ঢুকানো হয়। এরপরই শ্রমিকেরা কাঁচা চামড়া নামিয়ে সেগুলো ট্যানারির ভেতরে নিতে থাকেন। পরে চামড়া থেকে লেজ ও মাথার অংশ বাদ দিয়ে বাকি চামড়ায় লবন দিয়ে ট্যানারির ভেতরে স্তুপ করে রাখেন।
এই প্রতি পিস চামড়ায় লবন লাগানোর জন্য শ্রমিকরা পান ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এবিএস লেদারে কর্মরত শ্রমিক মঞ্জু বলেন, ঈদের মধ্যে দিন-রাত কাজ করতে হয়। টানা প্রায় এক মাস ব্যস্ততার মধ্যে থাকতে হয়।
বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের (বিটিএ) ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত উল্লাহ এবার প্রায় এক কোটি পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষমাত্রার কথা জানান। তিনি বলেন, হেমায়েতপুরে চামড়াশিল্প নগরীতে আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার- এই দুই দিনে সাড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ পিস কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হবে। এর বাইরে এবার প্রায় এক কোটি পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের বেঁধে দেয়া দামে চামড়া কেনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিকেল ৫ টার দিকে চামড়া শিল্পনগরীতে আসেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুর রহমান বলেন, কাঁচা চামড়া ও ওয়েট ব্লু চামড়া রপ্তানির বিষয়টি একটা সময় উন্মুক্ত ছিলো। পরবর্তিতে এটি বন্ধ করা হয়েছিলো দেশের স্বার্থেই। এখন আবার দেশের স্বার্থেই যদি দাম পাওয়া না যায় তাহলে যারা কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করবেন তাদের কাছ থেকে ওই চামড়া আমরা দেশের বাইরে রপ্তানি করতে পারি তাহলে সঠিক দাম পাওয়া যাবে। এজন্য কাঁচা চামড়া রপ্তানির বিষয়টি বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে। তবে আমরা সবসময় এটি করার প্রক্রিয়া নিবো এমন নয়। প্রয়োজন হলেই কেবন এটি করা হবে।
আলীম
