
ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইঁদুরের ওপর পরীক্ষায় বার্ধক্য রোধে রাপামাইসিন ও ট্রামেটিনিব নামের দুটি ওষুধের যুগপৎ ব্যবহার উল্লেখযোগ্য সফলতা এনেছে। এতে ইঁদুরের আয়ু ২৬ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজি অব এজিং গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। এই দুটি ওষুধ আগে থেকেই মানুষের ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত—রাপামাইসিন ব্যবহার হয় অঙ্গ প্রতিস্থাপনে এবং ট্রামেটিনিব ব্যবহৃত হয় ক্যানসারের চিকিৎসায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, রাপামাইসিন একা ব্যবহারে আয়ু ১৭-১৮% বাড়ায়, আর ট্রামেটিনিব ৭-১৬% পর্যন্ত কার্যকর। কিন্তু একসাথে ব্যবহার করলে কার্যকারিতা দ্বিগুণের কাছাকাছি হয়।
ওষুধ দুটি শুধু আয়ু বাড়ায়নি, বরং ইঁদুরের শরীরে প্রদাহ হ্রাস, টিউমার দমন ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রেখেছে।
জিন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুটি ওষুধ মিলিয়ে দিলে শরীরের জিনগত কার্যকলাপে আলাদা ধরণের প্রতিক্রিয়া হয়, যা বার্ধক্য প্রতিরোধে আরও কার্যকর।
গবেষকেরা মনে করছেন, মানুষের জন্য এই ওষুধের ডোজ ও প্রয়োগ পদ্ধতি উন্নয়ন করলে তা দীর্ঘস্থায়ী সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে।
অধ্যাপক লিন্ডা পার্ট্রিজ বলেন, ‘মানুষের আয়ু ইঁদুরের মতো বাড়বে না, তবে দীর্ঘদিন সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।’
আগামী বছর মানুষের ওপর এই ওষুধগুলোর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: এনডিটিভি।
রাকিব