ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নবাবগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদ আনন্দের মিলন মেলা

ঈদের প্রথম দিনেই আদনান প্যালেস পার্কে ভ্রমণপিপাসুদের উপচে-পড়া ভিড়

বিপ্লব ঘোষ, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ৭ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৯:১৪, ৭ জুন ২০২৫

ঈদের প্রথম দিনেই আদনান প্যালেস পার্কে ভ্রমণপিপাসুদের উপচে-পড়া ভিড়

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা আদনান প্যালেস পার্কে যেন নবীন-প্রবীণ ও শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। এখানে জমে উঠেছে ঈদ আনন্দের এক মিলন মেলা। 

ঢাকার গোলাপশাহ’র মাজার থেকে ৩২কিলোমিটার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১কি:মি: দূরে এর অবস্থান। ইছামতি নদীর তীরে এ এক অনিন্দ সুন্দর লীলাভূমি ‘আদনান প্যালেস পার্ক’।

উপজেলা সদর কলাকোপা ইউনিয়নের বাসিন্দা, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এস আলম পোখরাজের ছেলে আদনান খন্দকারের নামে পার্কটির নামকরণ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, দোহার-নবাবগঞ্জসহ ফরিদুপর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ জেলা থেকে প্রতিদিন বিকাল হলেই এখানে ভীড় জমায় হাজারো নারী পুরুষ। ইছামতি নদীর পারের নির্মল সুশীতল বাতাস অনেকে ভ্রমনপিয়াসীর মনের তৃষ্ণা মেটায়। ঈদের প্রথম দিন থেকেই পা ফেলার জায়গা ছিলো না পার্কটিতে।  

শনিবার বিকালে পার্কের দর্শনার্থী আনজুম আরা জানান, ইছামতি নদীর পারের এসব দৃশ্য দেখতে ভাল লাগে। মনটা কিছুক্ষণের জন্য হলেও প্রফুল্ল হয়। তাই পরিবারের সবার সাথে একটু স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতে ঘুরতে আসা।

দোহারের বাসিন্দা আতাউর রহমান বলেন, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে আসা হয়েছে। নির্বিঘে্ন ইচ্ছা মতো ঘুরেছি। ইছামতি নদীর ঢেউ, গ্রামীন ঐতিহ্য অনেক ভাল লাগে। 

শিশু তানজামুল জানান, খুব ভালো লাগছে।  ভিতরে রয়েছে ঘোড়ার গাড়ী, শিশুদের জন্য রয়েছে রেলগাড়ি, ঘোড়া, হুইল চেয়ার, রেসিং কার এবং টিভি রাইড ইত্যাদি। 

পার্কে ঘুরতে আসা গৃহবধু তাসমিনা রহমান বলেন, এ স্থানে ঘুরতে আসলে কিছুক্ষণের জন্য হলেও যে কোন মানুষের মন ভাল হয়ে যাবে। এ অঞ্চলকে পর্যটন এলাকায় পরিণত করলে চিত্তবিনোদনের এক অভয়ারণ্যের সৃষ্টি হবে। কি নেই এখানে। বিকাল হলেই বসে হরেক রকমের দোকান। সন্ধ্যার সূর্যাস্ত যেন সকলকে পুলকিত করে তোলে।

কথা হয় পার্কটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা খন্দকার আবু হাসান সবুজের সঙ্গে। তিনি জানান, নবাবগঞ্জ দোহারসহ আশপাশের এলাকাবাসীর চিত্তবিনোদনের জন্য পার্কটি তৈরি করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব টিম রয়েছে। পার্ক জুড়ে রয়েছে ছবি তোলার নানান চিত্র। সকল মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  

স্থানীয় প্রশাসনের নিরাপত্তার বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর ঈদের সময়ে কলাকোপা এলাকায় অনেক দর্শনার্থী ও ভ্রমনকারীর আগমন ঘটে। সে বিষয়টি মাথায় রেখে আদনান প্যালেস পার্কসহ উপজেলার সকল দর্শনীয় স্থানে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

রাজু

×