
ছবিঃ সংগৃহীত
কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। অনলাইন ক্লাস, ডিজিটাল অ্যাসাইনমেন্ট ও ইন্টারনেটভিত্তিক পাঠদানের কারণে মোবাইল ফোন এখন শুধু বিনোদনের নয়, শিক্ষার অন্যতম মাধ্যমও হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই সুযোগকেই অনেক সময় 'অজুহাত' হিসেবে ব্যবহার করছে শিশুরা, আর সে সুযোগ করে দিচ্ছেন মা-বাবারাই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “মোবাইল এখন পড়াশোনার প্রয়োজনীয় একটি মাধ্যম হলেও তা যথাযথ তদারকি ছাড়া শিশুর ক্ষতির কারণ হতে পারে।” মা-বাবারা অনেক সময় বলেন, “ও তো এখন মোবাইল দিয়ে পড়াশোনা করে, ক্লাস করে, তাই আমরা বাধা দিই না।” কিন্তু আসল সমস্যা এখানেই—এই ‘এক্সকিউজ’ বা অজুহাত থেকেই শুরু হয় অনিয়ন্ত্রিত মোবাইল ব্যবহার।
শিশুরা কোথায় যাচ্ছে, কী দেখছে, ইউটিউবে কোন কোন কনটেন্ট দেখছে—এসব বিষয়ে অভিভাবকদের খেয়াল রাখা জরুরি। পাশাপাশি, অভিভাবকের পর্যবেক্ষণ যেন অতিরিক্ত নজরদারিতে না পরিণত হয়, সে বিষয়েও থাকতে হবে সচেতনতা। একজন মনোবিজ্ঞানী বলেন, “সন্তানকে নজরদারি না করে বোঝাতে হবে—পড়াশোনার জন্য মোবাইল ব্যবহার এক জিনিস, আর বিনোদনের জন্য অতিরিক্ত ব্যবহার আরেক জিনিস।”
শিশুর মোবাইল ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে তাকে সারাক্ষণ সন্দেহের চোখে না দেখে, বরং পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন অভিজ্ঞরা। মোবাইল ব্যবহারে সময়সীমা নির্ধারণ, কনটেন্ট মনিটরিং এবং প্রয়োজনে 'প্যারেন্টাল কন্ট্রোল' ব্যবহার করতে বলেন তারা।
ইমরান