প্রতিনিয়ত যেখানে সংরক্ষিত বনাঞ্চল কমছে সেখানে, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পর্যটন পল্লি গঙ্গামতি সৈকতে বৃদ্ধি পেয়েছে ৬২ একর নতুন বনভূমি।
বনবিভাগ এই বেলাভূমিতে ঝাউবাগান করেছে। বেলাভূমি এখন সবুজের আস্তরণে ঢাকতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে চারাগাছগুলো লক লক করে বেড়ে উঠেছে। ফলে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটায় প্রাথমিক রক্ষায় সবুজ দেয়ালখ্যাত সংরক্ষিত বনাঞ্চল বাড়ানোর বনবিভাগের উদ্যোগ সফল হয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে এই চারা রোপণ করা হয়েছে।
শতকরা ৯৫ ভাগ চারা বেড়ে উঠেছে। সতেজ চারাগাছগুলো এ মৌসুমেই আরও ডালপালা বিস্তৃত করে নতুন বাগানে পরিণত হবে। সাগরের কোল ঘেঁষে ধু-ধু বালুরচরে এই বাগানটির কারণে শোভা আরও বাড়বে গঙ্গামতি সৈকতের।
এমনিতেই প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং বনদস্যুদের নানা ধরনের অপতৎপরতায় এই জনপদের সংরক্ষিত বনাঞ্চল কমে যাচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসকালীন দূর্যোগ ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই দূর্যোগ ঝুঁকি কমাতে সরকারের বনবিভাগের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
গঙ্গামতি শুন্যপয়েন্টের জেলে আব্দুল হাকিম জানান, "এখানে একসময় শুধু জেলেরা মাছ ধরত। পাশেই বসবাস করে আসছেন তারা। এখন পর্যটক আসছে। বাগান বাড়লে পর্যটকরা রোদের সময় ছায়াতলে সৈকত ভ্রমণ শেষে বিশ্রাম নিতে পারে। আর প্রাকৃতিক পরিবেশও সুন্দর হবে।"
একই মন্তব্য রেক্রিসেন্ট সোসাইটির স্থানীয় টিম লিডার জসিম উদ্দিনের। পরিবেশ সংগঠক কামাল হাসান রনি জানান, "আমরা সংরক্ষিত বনাঞ্চল রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন করে যাচ্ছি। পাশাপাশি বনাঞ্চল বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা বিতরণ করছি।"
বনবিভাগ গঙ্গামতি এলাকার বিট কর্মকর্তা আঃ রাজ্জাক জানান, "উপকূলীয় সংরক্ষিত বনাঞ্চল বাড়ানোর জন্য এখানে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ২৫ হেক্টর জমিতে ঝাউ বাগান করা হয়েছে। দুই বছরে এই চরাঞ্চলের চারাগাছ লকলক করে বেড়ে উঠেছে।"
তিনি জানান, গঙ্গামতি, কুয়াকাটা ও চরবিজয় এলাকায় আরও বনায়ন করা প্রয়োজন।উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় বনবিভাগ সজাগ রয়েছে বলেও এ কর্মকর্তা জানালেন।
ঝাউ গাছ বাতাস প্রতিরোধী অসম্ভব ক্ষমতার জন্য সাধারণত সমুদ্র সৈকতে এ গাছ বেশি লাগানো হয়।
পৃথী
