
ছবিঃ সংগৃহীত
সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া স্বাস্থ্যচর্চার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন সকালে আঞ্জীর(ড্রাই ফিগ) পানির অভ্যাস বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতার কারণে এটি অনেকের নিত্যদিনের রুটিনে জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিদিন সকালে আঞ্জীর ভেজানো পানি পান করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা উন্নত হয় এবং একাধিক রোগ প্রতিরোধে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
প্রথমত, আঞ্জীর পানি পাচনতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। এতে থাকা সলিউবল ফাইবার অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। যারা নিয়মিত হজমজনিত সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য এটি একটি প্রাকৃতিক সমাধান।
দ্বিতীয়ত, এই পানি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। অঞ্জীরের প্রাকৃতিক চিনি ধীরে ধীরে রক্তে মিশে, ফলে রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি বা পতনের সম্ভাবনা কমে যায়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি হতে পারে একটি স্বাস্থ্যবান্ধব পানীয়।
তৃতীয়ত, ওজন কমাতে ইচ্ছুকদের জন্য আঞ্জীর পানি হতে পারে একটি সহায়ক উপাদান। এতে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার পেট ভরা অনুভব করায়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
চতুর্থত, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়। এর ফলে বয়সজনিত বিভিন্ন জটিলতা দূরে রাখা সম্ভব হয়।
পঞ্চমত, আঞ্জীর পানিতে থাকা পটাশিয়াম, ওমেগা-৩ ও ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী। এগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ষষ্ঠত, এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত সেবনে এটি শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
সপ্তমত, আঞ্জীর পানি একটি প্রাকৃতিক ডিটক্স পানীয় হিসেবেও কাজ করে। এটি লিভারসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে, ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও ফুরফুরে।
অষ্টমত, এটি রক্ত তৈরিতে সহায়ক। আয়রনে সমৃদ্ধ আঞ্জীর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
সূত্র ঃ https://shorturl.at/DbKG7
পৃথী