
ছবি: সংগৃহীত
বিয়ের দিন কাবিনের পরিমাণ নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি কিংবা তর্কবিতর্ক প্রায়শই দেখা যায়। কখনো কখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, শেষমেশ বিয়ে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয়ে নিজের মতামত দিয়েছেন ব্যারিস্টার লিমা আঞ্জুমান। এক ভিডিও বার্তায় তিনি কাবিন নির্ধারণে কীভাবে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত সমাধানে পৌঁছানো যায়, সে বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন।
ব্যারিস্টার লিমা বলেন, ‘বিয়ের সময় কাবিন নিয়ে অনেক সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যেখানে মেয়ের পরিবার বেশি কাবিন দাবি করে আর ছেলের পরিবার তুলনামূলক কম দিতে চায়। এই দ্বন্দ্ব এড়াতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।’
তিনি বলেন, কাবিন নির্ধারণের সময় মেয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা, তার পারিবারিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট, সৌন্দর্য ও গুণাবলি বিবেচনায় আনা যায়। তেমনি মেয়ের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনদের সাম্প্রতিক বিয়ের কাবিনও একটি রেফারেন্স হতে পারে।
কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো ছেলেপক্ষের আর্থিক সামর্থ্য। ছেলেটি কী ধরনের চাকরি করে, তার মাসিক আয় কত, সে তার স্ত্রীকে কী পরিমাণ দেনমোহর বা কাবিন দিতে সক্ষম— এসব দিক পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
ব্যারিস্টার লিমা আরও বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তটা দুই পরিবারের অভিভাবকরা মিলে আগেই বসে নিয়ে নিলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব। যদি বিয়ের নির্ধারিত তারিখের দুই-তিন দিন আগেই কাবিন বিষয়ে আলোচনা ও সমঝোতা হয়, তাহলে মূল বিয়ের দিনটিতে আর কোনো সমস্যা হয় না।’
তিনি উল্লেখ করেন, কাবিন নির্ধারণে কোনো বাধ্যতামূলক পরিমাণ নেই, তবে এটি যৌক্তিক, সম্মতিপূর্ণ এবং উভয় পক্ষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়াই কাম্য।
সংক্ষেপে ব্যারিস্টার লিমার পরামর্শ:
- কাবিন নির্ধারণে মেয়ের শিক্ষাগত ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নেওয়া উচিত
- ছেলেপক্ষের আয় ও সামর্থ্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ
- আত্মীয়দের সাম্প্রতিক বিয়ের কাবিন পরিমাণ রেফারেন্স হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে
- বিয়ের কয়েকদিন আগেই অভিভাবকদের আলোচনার মাধ্যমে কাবিন ঠিক করে নেওয়া সবচেয়ে কার্যকর সমাধান
বিয়ের মতো পবিত্র ও আনন্দমুখর অনুষ্ঠানে কাবিন নিয়ে ঝগড়া নয়, বরং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও পারিবারিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সুন্দর সমাধানই হতে পারে সুস্থ সমাজ গঠনের পথ।
সূত্র: https://www.youtube.com/shorts/2vpscXMsS0o
রাকিব