ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

থানায় জিডি করার আইনি প্রয়োজনীয়তা কতটা? যা বললেন ব্যারিস্টার লিমা

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ৯ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৬:৫২, ৯ জুন ২০২৫

থানায় জিডি করার আইনি প্রয়োজনীয়তা কতটা? যা বললেন ব্যারিস্টার লিমা

ছবি: প্রতীকী

সাধারণ ডায়েরির (জিডি) গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এক ভিডিও আলোচনায় ব্যারিস্টার লিমা আঞ্জুমান বলেন, অনেকেই জিডির প্রকৃত উদ্দেশ্য না বুঝেই থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে বলেন। কিন্তু বাস্তবে জিডি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক আইনি পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের অনেক জটিলতা ও ঝামেলা এড়াতে সহায়ক হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘জিডি মানে হলো জেনারেল ডায়েরি, বাংলায় যেটা সাধারণ ডায়েরি নামে পরিচিত। নামেই যেমন সাধারণ, এর প্রয়োগটাও অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ, কিন্তু প্রভাব হতে পারে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

ব্যারিস্টার লিমা ব্যাখ্যা করেন, আপনি যদি কোন এলাকায় বসবাস করেন এবং আপনার সঙ্গে কেউ খারাপ আচরণ করে, হুমকি দেয়, ঝগড়া বাধাতে চায়, কিংবা ভবিষ্যতে বড় ধরনের ঝামেলার ইঙ্গিত পেয়ে থাকেন—তাহলে দ্রুত থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করে রাখা উচিত।

তিনি বলেন, ‘আপনি যদি আগে থেকেই আশঙ্কা করেন যে আপনার বিরুদ্ধে কিছু একটা ঘটতে পারে, তাহলে ওই তথ্য লিখিত আকারে থানায় এন্ট্রি করিয়ে রাখলে সেটা ভবিষ্যতে আপনার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।’

জিডি করার ফলে—

  • থানা জানবে আপনি সমস্যার মধ্যে আছেন
  • আপনার অভিযোগ থানার নথিতে থাকবে, যা ভবিষ্যতের মামলায় রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহারযোগ্য
  • ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একজন তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) নিয়োগ করা হয়
  • যদি তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে সেটি মামলা আকারে আদালতে যায়
  • যদি বিষয়টি মামলা পর্যায়ে যাওয়ার মত না হয়, তাহলে পুলিশ উভয় পক্ষকে ডেকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারে

ব্যারিস্টার লিমা বলেন, ‘জিডি মানে শুধু একটা কাগজে কিছু লেখা না। এটা আপনাকে আইনি সুরক্ষা দিতে পারে, কারণ আপনি আগেই আইনকে জানিয়েছেন যে কিছু একটা ঘটতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, যেকোনো আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি দেখা দিলে ‘জিডি’ করা যেন আইন সচেতন নাগরিকের প্রথম পদক্ষেপ হয়—এটাই হওয়া উচিত প্রতিটি নাগরিকের মনোভাব।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/shorts/4WCWlmBX4lY

রাকিব

×