ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৯ আগস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

নাগরপুরের ধুনাইলে নেই পাকা সেতু, ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলে আটকে আছে জনজীবন

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ৯ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ১১:০১, ৯ আগস্ট ২০২৫

নাগরপুরের ধুনাইলে নেই পাকা সেতু, ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলে আটকে আছে জনজীবন

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলাধীন ভাদ্রা বাজার থেকে দপ্তিয়র রোডের সাথে সংযুক্ত ধুনাইলে নদীর উপর ঝুঁকিপূর্ণ অস্থায়ী কাঠের সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শতশত মানুষ। 

সেতুটি দিয়ে ধুনাইল, সারটিয়াগাজী, পাছআড়রা, চাষাভাদ্রা, সমেতপুর সহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম এবং দপ্তিয়র ইউনিয়নের প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। প্রায় আশি মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি সারটিয়াগাজী গ্রামের মধ্যবর্তী রাস্তার সাথে যুক্ত হয়ে একদিকে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা এবং আরেকদিকে টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। রাস্তাটির এলজিইডি কোড নং- ৩৯৩৭৬৫০১৬। 

সরজমিনে পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী এলাবাসীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা ব্রিজটির নির্মাণ কাজ পাশ করে দেয়ার অঙ্গীকার করলেও বাস্তবে করে দেয়নি। এতে করে এই এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লি, শ্রমজীবী, কৃষিজীবী মানুষেরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, আমরা সরকারকে অবহিত করতে চাই ব্রিজটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় অতিদ্রুত তালিকাভুক্ত করে কাজ শুরু করতে হবে। হাজার হাজার পরিবারের জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে এই ব্রীজ না হওয়ায়। তাই আমি এলজিইডি কর্তৃপক্ষে অনুরোধ করবো ব্রীজটি যেন দ্রুত তালিকাভুক্ত করা হয়।

এদিকে বর্তমান ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের ব্রীজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কিছুদিন পূর্বে একজন সাইকেল আরোহী নিচে পড়ে গিয়ে গুরতর আহত হন। যার ফলশ্রুতিতে এখান দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষ যেকোনসময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছে।

বিষয়টি নিয়ে নাগরপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ তোরাপ আলী জানায়, ব্রীজটি নির্মাণ করা খুবই জরুরী। নতুন প্রকল্পে তালিকাভুক্তি করার কাজ চলছে। তবে বিষয়টি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি কে অবহিত করলে দ্রুত তালিকাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে আমরা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলামকে পাঠিয়ে ওই এলাকার রাস্তা ও ব্রীজটি সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। 

এদিকে ধুনাইল নদীর উপর ব্রীজটি পাকাকরণের বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, চলতি অর্থবছরে টাঙ্গাইল প্রজেক্ট বর্ধিত করা হলে ব্রীজটি তালিকাভুক্ত হবে। সেটা নাহলে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

উল্লেখ্য এই এলাকার প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আরাফাত মোহাম্মদ নোমান সরকারী প্রকল্পের আওতায় এনে কাঠের সেতুটির সংস্কার কাজ করে দিয়েছেন।

 

শেখ ফরিদ  

×