
ছবি: সংগৃহীত
জমি বা ফ্ল্যাট কেনা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এ ধরনের বিনিয়োগে সামান্য ভুলও বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। অনেক সময় বিক্রেতা বা ডেভেলপারকে এডভান্স বা আগাম টাকা দেওয়ার প্রয়োজন হয়। তবে এডভান্স দেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট যাচাই না করলে প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জমি বা ফ্ল্যাট কেনার সময় এডভান্স দেওয়ার আগে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট যাচাই করা উচিত, তা হলো—
১. খতিয়ান (Record of Rights): জমির প্রকৃত মালিকানা যাচাইয়ের জন্য খতিয়ান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলিল। CS, SA, RS ও বর্তমান BS খতিয়ান মিলিয়ে দেখা দরকার।
২. নামজারি (Mutation): বর্তমানে যার কাছ থেকে জমি বা ফ্ল্যাট কিনবেন, তার নামে নামজারি হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে।
৩. দলিল (Deed of Ownership): মালিকের কাছে বৈধ রেজিস্ট্রিকৃত দলিল আছে কি না, তা দেখতে হবে। দলিল যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে যে, এটি আসল এবং আইনগতভাবে বৈধ।
৪. ট্যাক্স রিসিট ও হোল্ডিং ট্যাক্স: সরকারি খাজনা ও পৌরসভার হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে কি না, তা যাচাই করুন।
৫. প্ল্যান ও বিল্ডিং অনুমোদন (Flat-এর ক্ষেত্রে): ডেভেলপার কর্তৃক নির্মিত ফ্ল্যাট হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিল্ডিং প্ল্যান ও অনুমোদনের কপি দেখতে হবে।
৬. বিক্রয় চুক্তিপত্র (Sale Agreement): এডভান্স দেওয়ার আগে একটি সুনির্দিষ্ট বিক্রয় চুক্তিপত্র করা উচিত, যেখানে মূল্য, পরিমাণ, হস্তান্তরের সময়সীমা, বাতিলের শর্তসহ সব কিছু স্পষ্ট থাকবে।
৭. পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (যদি থাকে): যদি মালিক নিজে না হয়ে অন্য কেউ পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে বিক্রি করেন, তাহলে সেই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি যাচাই করতে হবে, এটি বৈধ ও সক্রিয় কি না।
৮. ডেভেলপার কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন (Flat-এর ক্ষেত্রে): ডেভেলপার কোম্পানির আইনগত বৈধতা রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে হবে। REHAB-এর সদস্য কি না, তাও খতিয়ে দেখা যেতে পারে।
সতর্কতা: এডভান্স পেমেন্ট দেওয়ার আগে সব কাগজপত্র ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া, প্রয়োজনে আইনজীবীর সহায়তা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ একবার প্রতারণার ফাঁদে পড়লে আইনগত জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
আসিফ