
ছবি: সংগৃহীত।
অনেকেই জমির দলিল বা খতিয়ানে একাধিক শব্দের সঙ্গে পরিচিত হলেও সেগুলোর প্রকৃত অর্থ বুঝে উঠতে পারেন না। এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হলো ‘হিস্যা’। দলিল বা খতিয়ান পাঠের সময় বারবার উচ্চারিত হলেও অনেকেই ‘হিস্যা’ শব্দের প্রকৃত তাৎপর্য সম্পর্কে অনিশ্চয়তায় থাকেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘হিস্যা’ শব্দটির অর্থ হলো ‘অংশ’। এটি দ্বারা বোঝানো হয়—একটি জমির মোট পরিমাণের মধ্যে কোন ব্যক্তি কতটুকু অংশের মালিক। দলিলে সাধারণত উল্লেখ থাকে, কোনো মালিক কত ভাগ জমির অংশীদার। যেমন, ‘৮ ভাগের এক ভাগ’, ‘১০ ভাগের এক ভাগ’ কিংবা ‘অর্ধেক হিস্যা’। এভাবে হিস্যার মাধ্যমে একজন মালিকের সুনির্দিষ্ট জমির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
একটি খতিয়ান বা দাগে যদি একাধিক মালিকের নাম উল্লেখ থাকে, তাহলে সেখানে প্রতিটির হিস্যা উল্লেখ করা হয়। এ হিস্যা স্পষ্ট করে দেয়—উক্ত ব্যক্তি পুরো জমির একক মালিক, না কি যৌথভাবে মালিকানার অংশীদার।
আদালত বা জমি সংক্রান্ত যে কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় ‘হিস্যা’ নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কারণ জমির মালিকানা, বিক্রয়, হস্তান্তর কিংবা উত্তরাধিকার সংক্রান্ত যে কোনো ক্ষেত্রে জমির পরিমাণ ও ভাগ জানাটা অপরিহার্য।
সংশ্লিষ্টদের মতে, জমি কেনাবেচা বা উত্তরাধিকার সংক্রান্ত কাজে ঝামেলা এড়াতে ‘হিস্যা’ সংক্রান্ত তথ্য স্পষ্টভাবে জানা ও দলিলপত্রে সঠিকভাবে উল্লেখ করাটা অত্যন্ত জরুরি।
মিরাজ খান