ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিদেশে দেশীয় স্বাদের মিষ্টি বিক্রি করছেন বাংলাদেশি কারিগরেরা

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ৬ জুন ২০২৫

বিদেশে দেশীয় স্বাদের মিষ্টি বিক্রি করছেন বাংলাদেশি কারিগরেরা

রসগোল্লা, রসমালাই, চমচম, কালোজাম, ছানামুখি কিংবা সন্দেশ—এতসব বাহারি মিষ্টির নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। এমন দৃশ্য এখন শুধু বাংলাদেশে নয়, মিলছে মধ্যপ্রাচ্যেও। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান শহরে দেশীয় এসব মিষ্টি তৈরি করছে একটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান, যা প্রবাসীদের মুখে এনে দিচ্ছে স্বদেশের স্বাদ।

এক সময় প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য মিষ্টির স্বাদ ছিল বিলাসিতা। বছরে একবার দেশে যাওয়ার সময় কিংবা দেশ থেকে কেউ ফিরলে সঙ্গে করে নিয়ে আসা হতো রসগোল্লা বা চমচম। কিন্তু এখন আর অপেক্ষা করতে হয় না।

আজমানের এক প্রবাসী উদ্যোক্তা বলেন, "এই মেশিনের পরে আমরা মিশিয়ে মিষ্টি তৈরি করি। ঠান্ডা করার পর আমরা রেসিপি মতো মিষ্টিগুলো বানাই। রসমালাই, ছানামুখি, সবই হয়। এখানের মানুষের চাহিদাও অনেক।"

আজমানে তৈরি এসব মিষ্টি শুধু স্থানীয় প্রবাসীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং ছড়িয়ে পড়ছে আমিরাতের অন্যান্য শহরের দোকানেও। বিদেশিদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দেশীয় স্বাদের এই মিষ্টি।

আরেকজন প্রবাসী বলেন, "বাংলাদেশি কোম্পানি এখানেই প্রোডাকশন করছে। হোম ডেলিভারিও দিচ্ছে। এখন আমরা দেশের স্বাদ এখানেই উপভোগ করতে পারছি।"

দেশীয় মিষ্টির স্বাদ ছড়িয়ে দিতে তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান। প্রবাসীরা এখন নিজ উদ্যোগে ব্যবসা দাঁড় করাচ্ছেন। এক উদ্যোক্তা জানান, "দেশের অনেক মিষ্টি খেয়েছি। সেইম স্বাদ এখানেও পাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখন আমার নিজের প্রতিষ্ঠান আছে। আমি নিজেই কাজ করছি, আরও লোকজন নিয়ে।"

শুধু রোজকার বিক্রি নয়, বিয়ে, জন্মদিন বা ধর্মীয় উৎসবসহ যেকোনো প্রবাসী আয়োজনে জায়গা করে নিচ্ছে দেশীয় মিষ্টি।

এইসব প্রতিষ্ঠান একদিকে যেমন প্রবাসীদের চাহিদা পূরণ করছে, অন্যদিকে দেশীয় ঐতিহ্য ও স্বাদকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিচ্ছে গর্বের সঙ্গে। বাংলাদেশি মিষ্টির ঘ্রাণ এখন আর শুধু নাকের কাছে নয়, কর্মসংস্থানের হাতছানিও।

মিমিয়া

×