
ছবিঃ সংগৃহীত
কোরবানির ঈদে কাঁচা চামড়ার সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। চামড়া যেন নষ্ট না হয় এবং তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা যায়— সে জন্য চামড়া ছাড়ানো ও সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি জানানো হয়েছে।
চামড়া ছাড়ানোর সঠিক পদ্ধতি
চামড়া ছাড়ানোর সময়:
* পশুর সামনের এক পা থেকে বুক বরাবর অন্য পা পর্যন্ত এবং পেছনের এক পা থেকে লেজ বরাবর অন্য পা পর্যন্ত ৪-৬ ইঞ্চি উপরে লম্বালম্বিভাবে কাটতে হবে।
* আড়াআড়ি কাটার জন্য ব্যবহার করতে হবে সূচালো ছুরি এবং চামড়া ছাড়ানোর জন্য বাঁকানো ছুরি।
* রক্তমাখা ছুরি দিয়ে চামড়া মুছা যাবে না, এতে চামড়া নষ্ট হতে পারে।
* অসতর্কতা ও ভুল ছুরি ব্যবহারের কারণে চামড়ায় ‘লেস-কাটা’র মতো ত্রুটি দেখা দিতে পারে, যা এড়াতে সঠিক ছুরি ব্যবহার জরুরি।
কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের নিয়ম
* চামড়া ছাড়ানোর পর তা থেকে চর্বি, মাংস, রক্ত, মাটি ও গোবর ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
* গরু বা মহিষের চামড়ার ক্ষেত্রে প্রতি চামড়ায় ৭-৮ কেজি এবং ছাগল বা ভেড়ার ক্ষেত্রে ৩-৪ কেজি লবণ ব্যবহার করতে হবে।
* লবণ এমনভাবে দিতে হবে যাতে চামড়ার ভেতরের (ফ্লেস সাইড) অংশে কোনো ফাঁকা না থাকে এবং লবণ সমভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
* চামড়া ছাড়ানোর ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যেই লবণ প্রয়োগ করা উচিত।
* সংরক্ষণের স্থান হতে হবে উঁচু ও ঢালু, যাতে চামড়া থেকে রক্ত বা পানি সহজেই গড়িয়ে যেতে পারে।
* লবণ দেওয়া চামড়া এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে রোদ, বৃষ্টি বা অতিরিক্ত পানি না লাগে এবং হাওয়া চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে।
* কোরবানির আগেই প্রয়োজনীয় লবণ কাছাকাছি ডিলার বা পাইকারের কাছ থেকে সংগ্রহ করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মান নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় ব্যবস্থাপনা
* অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত চামড়া স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় ব্যবসায়ীদের কাছে যথাসময়ে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
* ইউনিয়ন, উপজেলা সদর, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ বাজার বা হাট এলাকায় অস্থায়ী চামড়া সংরক্ষণের কেন্দ্র স্থাপন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিসিক জানায়, চামড়া ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা ও দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণই পারে কোরবানির পশুর চামড়াকে অর্থকরী সম্পদে রূপ দিতে।
মুমু