ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদ আনন্দ যেন বিষাদে পরিণত না হয়, আপনার সন্তানকে আগলে রাখুন

মনজু শেখ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, রাজবাড়ী

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ৭ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৮:৩৯, ৭ জুন ২০২৫

ঈদ আনন্দ যেন বিষাদে পরিণত না হয়, আপনার সন্তানকে আগলে রাখুন

ছ‌বি: জনকণ্ঠ

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই মিলনমেলা। ঈদুল আজহা উপলক্ষে শহরের কোলাহল ছেড়ে মানুষ ছুটে চলছে প্রিয় গ্রামে, আপনজনের সান্নিধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে। আর এই আনন্দযাত্রায় সঙ্গে আছে ছোট ছোট শিশুরাও, যাদের নিষ্পাপ হাসিতে ঈদের খুশি যেন কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

তবে এই আনন্দের মাঝেই লুকিয়ে থাকে শঙ্কা—যদি না আমরা থাকি সচেতন। প্রতি বছরই ঈদকে ঘিরে দেশে ঘটে যায় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। বিশেষ করে শিশুরা অনেক সময় অসাবধানতায় পড়ে যায় বিপদের মুখে। বাবা-মায়ের সামান্য অসতর্কতা কখনো কখনো নিয়ে আসতে পারে আজীবনের কান্না।

গ্রামের পরিবেশ শহরের চেয়ে আলাদা। পুকুর, খাল, ডোবা, ধানক্ষেত—এসব শিশুদের কাছে নতুন ও রোমাঞ্চকর মনে হতে পারে। কিন্তু এই রোমাঞ্চই হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী। চলমান বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ পুকুর ও খাল পানিতে টইটম্বুর। সাঁতার না জানা শিশুরা খেলতে খেলতেই পা পিছলে পড়ে যেতে পারে পানিতে। এমন ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়—যেগুলো প্রতিরোধযোগ্য ছিল।

তাই আসুন, সচেতন হই। ঈদের খুশি বজায় রাখার জন্য আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।

শিশুদের একা কোথাও যেতে না দেওয়া, পুকুর বা খালের পাশে খেলতে না দেওয়া, শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর রাখা, এবং সম্ভব হলে তাদের সাঁতার শেখানো— এসব ব্যবস্থা নিতে হবে আমাদেরই।

একটি মুহূর্তের অসতর্কতা আমাদের ঈদ আনন্দকে পরিণত করতে পারে বিষাদে। ঈদের খুশি হোক সার্বজনীন, নিরাপদ এবং হৃদয়গ্রাহী— এই হোক আমাদের সকলের অঙ্গীকার।

আপনার সন্তানের নিরাপত্তা, আপনারই হাতে— ঈদের আনন্দ হোক আনন্দময়, নয় বিষাদময়।

এম.কে.

×