
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
নোবেল বিজয়ী গ্রামীণ ব্যাংক ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনা করা হয়েছে এমন গোয়েন্দা তথ্যে জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নাশকতাসহ সকল ধরনের অপতৎপরতা এড়াতে ঈদের রাত থেকে কুড়িগ্রাম জেলায় অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৪৯ টি শাখায় পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সাথে সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়েও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ‘ পতিত আওয়ামী লীগ ভারতের সহায়তায় ঈদের ছুটিতে দেশে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রাথমিকভাবে রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংক এবং এই সংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও হামলার পরিকল্পনা করেছে। প্রাথমিকভাবে রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রামে এই হামলার সূত্রপাত ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।’ দেশের অন্যান্য স্থানেও একই ধরনের হামলার সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে কুড়িগ্রামে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় পুলিশ ও আনসার সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছে। ঈদের রাত থেকে তারা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও জেলার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি জোরদার করা হয়েছে। যেকোনও ধরনের নাশকতা পরিকল্পনা প্রতিহত করতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। জেলা জুড়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
এসপি মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ আইনশৃঙ্খলা বিঘœ করে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন যেকোনও ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে পুলিশ প্রস্তুত আছে। জেলাজুড়ে গ্রামীণ ব্যাংকের সকল শাখাসহ পল্লি বিদ্যুৎ অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঈদের ছুটির সুযোগে যাতে কেউ রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা বিভাগ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাড়তি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।’
ফারুক