
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ড্রাগন ফল বা ‘পিতায়া’-এর চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি এই ফলের উৎপাদনেও এগিয়ে এসেছে কিছু নির্দিষ্ট দেশ। এর মধ্যে ভিয়েতনাম বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ড্রাগন ফল উৎপাদক দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে। দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলীয় ভিয়েতনামের বিন থুয়ান, লং আন ও তিয়েন গিয়াং প্রদেশে এই ফলের বিস্তৃত চাষ হয়।
বর্তমানে ভিয়েতনাম প্রতিবছর ১০ লক্ষ মেট্রিক টনেরও বেশি ড্রাগন ফল উৎপাদন করে। এর মধ্যে প্রায় ৯৫% ফল শুধু বিন থুয়ান অঞ্চলেই উৎপাদিত হয়। কৃত্রিম আলো ব্যবহার করে গাছকে অফ-সিজনে ফুল ধরাতে সক্ষম হওয়ায় সারা বছর ফল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে দেশটিতে।
বিশ্বের শীর্ষ ৫ ড্রাগন ফল উৎপাদক দেশ
র্যাংক | দেশ | উৎপাদন এলাকা (হেক্টর) |
---|---|---|
১ | ভিয়েতনাম | ৫৫,৪১৯ |
২ | চীন | ৪০,০০০ |
৩ | ইন্দোনেশিয়া | ৮,৪৯১ |
৪ | থাইল্যান্ড | ৩,৪৮২ |
৫ | তাইওয়ান | ২,৪৯১ |
ভিয়েতনাম থেকে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য এশীয় দেশগুলোতে বিপুল পরিমাণে ড্রাগন ফল রপ্তানি করা হয়। চীন নিজে উৎপাদক হলেও, দেশটি বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আমদানিকারকও বটে। তবে তারা ঘরোয়া চাষ বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা কমাতে চাচ্ছে।
ভিয়েতনামে দুই ধরনের ড্রাগন ফল বেশি উৎপাদিত হয়:
-
সাদা-মজ্জাযুক্ত (Hylocereus undatus)
-
লাল-মজ্জাযুক্ত (Hylocereus costaricensis)
সম্প্রতি একটি নতুন প্রজাতি – কমলা খোসাযুক্ত ও বেশি মিষ্টি স্বাদের ড্রাগন ফল (Selenicereus megalanthus) – রপ্তানির জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
অন্য উৎপাদক দেশ
ইন্দোনেশিয়া প্রতিবছর প্রায় ২.৭ লক্ষ মেট্রিক টন, থাইল্যান্ড ১.৬ লক্ষ মেট্রিক টন, ও তাইওয়ান হেক্টরপ্রতি ১৯.৭ মেট্রিক টন ফলন করে। এছাড়া ফিলিপাইন, কলম্বিয়া, নিকারাগুয়া, ইসরায়েল এবং ভারতেও এখন ড্রাগন ফলের উৎপাদন বাড়ছে।
ড্রাগন ফল সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য
-
এটি আসলে এক ধরনের ক্যাকটাস গাছের ফল।
-
ফুলগুলো শুধু রাতেই ফোটে এবং পরদিন সকালে ঝরে যায়, তাই একে **“চাঁদের ফুল”**ও বলা হয়।
-
একে ‘পিতায়া’ বা ‘স্ট্রবেরি পেয়ার’ নামেও ডাকা হয়।
-
ঘরে বসেও এই ফল সহজে চাষ করা যায়।
-
ফলের ভেতরের কালো বীজগুলো খাওয়ার উপযোগী এবং কিউই বীজের মতোই হালকা ক্রাঞ্চি স্বাদ দেয়।
মুমু ২