
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস জুড়ে চলছে আগুনে উত্তাল বিক্ষোভ। অভিবাসীদের উপর ধারাবাহিক আইস (ICE) অভিযানের পর শহরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সপ্তাহজুড়ে ১১৮ জন অভিবাসীকে গ্রেফতারের পর তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, হাইওয়ে অবরোধ, স্বচালিত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয় এই প্রতিবাদ।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) এর অভিযান চালানো হয় দুইটি হোম ডিপো, একটি ডোনাট দোকান ও ফ্যাশন ডিস্ট্রিক্টের একটি গুদামে। অভিযোগ, এসব স্থানে ভুয়া নথিপত্র নিয়ে কাজ করছিলেন অভিবাসীরা।
অভিযান চলাকালে জনতা রাস্তায় নেমে আসে, আইসের গাড়ি ঘিরে ধরে এবং আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানায়। একজন প্রতিবাদকারী মেগাফোনে বলেন, "আইস, তোমাদের আসল চেহারা আমরা জানি! এখানে তোমাদের জায়গা নেই।"
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানায়, মোট ১১৮ জন অভিবাসী গ্রেফতার হয়েছে, শুধু শুক্রবারেই আটক হন ৪৪ জন। এর মধ্যে ৫ জন ছিলেন অপরাধী গ্যাংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া প্যারামাউন্ট এলাকায় প্রতিবন্ধকতা তৈরির অভিযোগে ৮ জন মার্কিন নাগরিক ও কয়েকজন কিশোর-কিশোরীকেও আটক করা হয়, যদিও কিশোরদের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের অনুমতি ছাড়াই ২,০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেন। তিনি দাবি করেন, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ক্যালিফোর্নিয়ার নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে “আইন-শৃঙ্খলা” রক্ষায়।
Truth Social–এ ট্রাম্প লিখেন, “গভর্নর গ্যাভিন নিউজকম আর মেয়র ক্যারেন ব্যাস যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারেন, তাহলে ফেডারেল সরকার ব্যবস্থা নেবে, দাঙ্গা-লুটতরাজ থামাবে।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সতর্ক করেছেন, সহিংসতা চলতে থাকলে মেরিন সেনাদেরও পাঠানো হতে পারে।
গভর্নর গ্যাভিন নিউজম এই পদক্ষেপকে “ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কানিমূলক” বলে মন্তব্য করে বলেন, “এটি পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করবে এবং জনআস্থা ধ্বংস করবে।”
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস বলেন, “হোম ডিপোতে হানা দিয়ে, বাবা-মাকে আলাদা করে এই প্রশাসনই ভয় ও বিশৃঙ্খলার জন্ম দিয়েছে।”
কংগ্রেসওম্যান ম্যাক্সিন ওয়াটার্স বলেন, “ট্রাম্প এটা করে নিজের রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাচ্ছেন। আমি মনে করি, তিনি হয়তো সামরিক শাসন জারি করতে চাইছেন।”
মুমু ২