
ছবি: জনকণ্ঠ
পবিত্র ঈদুল আযহার পরদিন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক ঈদ পুনর্মিলনী, যেখানে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি উঠে এসেছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক বার্তা ও কৌশল।
সোমবার (৯ জুন) সকাল ৯টায় নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ বাজারে অনুষ্ঠিত এই মিলনমেলায় সভাপতিত্ব করেন ভিতরবন্দ ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ডা. আজিজুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন কুড়িগ্রাম-১ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক খন্দকার এরশাদুল হক। সভায় অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন—“ভোটকেন্দ্রে পাহারা দিতে হবে, যাতে কেউ ভোট ডাকাতি করতে না পারে। প্রত্যেক কেন্দ্রে সর্বোচ্চ জনশক্তি মোতায়েন করতে হবে। সাধারণ মানুষকেও এই কাজে যুক্ত করতে হবে।”
তাঁর এই বক্তব্যে নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতির একটি সুস্পষ্ট বার্তা উঠে আসে। তিনি আরও বলেন—“জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় বিশ্বাসী নয়, বরং জনগণের খাদেম হয়ে কাজ করতে চায়। সন্ত্রাস মোকাবেলায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে হবে।”
এই বক্তব্যে দলের অবস্থান এবং রাজনৈতিক কৌশলের ইঙ্গিতও পাওয়া যায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জামায়াতের জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হামিদ মিয়া,
উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুল মান্নান মিয়া,সেক্রেটারি মাওলানা শহিদুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী ব্যাংক শ্রীনগর শাখার ম্যানেজার মো. ইসমাইল হোসেন, জামায়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. শামছুর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার মো. আক্তারুজ্জামান নূর, স্থানীয় ছাত্রশিবির নেতা মো. হাবিবুর রহমান।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি সামাজিক বা ধর্মীয় আয়োজন ছিল না—বরং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে জামায়াতের সাংগঠনিক তৎপরতা ও জনসম্পৃক্ততা পরীক্ষার একটি কৌশলী পদক্ষেপ।
আবির