ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

তাড়াশে আকস্মিক বন্যায় বোরো ধান পানির নিচে, কৃষকের ঈদের আনন্দ ম্লান

নিজস্ব সংবাদদাতা, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ৯ জুন ২০২৫

তাড়াশে আকস্মিক বন্যায় বোরো ধান পানির নিচে, কৃষকের ঈদের আনন্দ ম্লান

ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আকস্মিক বন্যায় ডুবে গেছে বিস্তুর্ণ মাঠে থাকা জমির পাঁকা ধান। আর এই ডুবে থাকা পাঁকা ধানে ইতি মধ্যেই গজিয়ে গিয়েছে ধানের গাছ। পানিতে ডুবে থাকা ধান কাটতে হিমসিম খেতে হচ্ছে শ্রমিকদের । নিরুপায় অনেককেই ঈদের আনন্দ ফেলেই নৌকা নিয়ে ডুবে যাওয়া ধান কাটতে দেখা যাচ্ছে। মাটি হয়ে গেছে কৃষকের  ঈদের আনন্দ।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, তাড়াশ উপজেলার  নিম্ন অঞ্চল সগুনা ও মাগুড়া ইউনিয়নের ফসলি মাঠে এখনো ৭ শ ৫০ হেক্টর জমির পাঁকা বোরো ধান কাটতে বাকি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু জমির ধান পানিতে ডুবে গেলেও বাকী ধানগুলো কাটতে করতে হারভেষ্টার মেশিন সহ বিভিন্ন সহযোগীতা করছেন কৃষি বিভাগ। ছুটি বাতিল হয়েছে উপজেলায় কর্মরত কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর।   সরেজমিনে, উপজেলার মাগুরা বিনোদ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কিছু কিছু কৃষক পলিথিন পেপার দিয়ে নৌকা তৈরি করে, কেউবা আবার কলার গাছ দিয়ে নৌকা (ভুরা) বানিয়ে পানিতে ভিজে ভিজে ডুবে থাকা পাঁকাধান কাটছেন। এছাড়াও ধান মারাইয়ের জন্য পর্যাপ্ত শুকনা জায়গা না থাকায় মাঠে পাশ দিয়ে যাওয়া আঞ্চলিক সড়কের মাঝেই মারাই করছেন।

মাগুড়া গ্রামের শাকিল  বলেন, আমরা সরিষার আবাদ নিয়ে বোরধান রোপন করেছিলাম। ধান পেঁকেও গিয়েছিল। ভেবেছিলাম ঈদের পরে কাটবো। কিন্ত হঠাৎ বন্যার পানি এসে সব তলিয়ে গেছে। এখন বাড়িতে খাবার জন্য নিজেই ডুবে থাকা ধান কাটতে চেষ্টা করছি।

অপরদিকে একই গ্রামের কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা কৃষি অফিসের সহযোগীতা নিয়ে উচু জমি থেকে দ্রæত ধান কেটে নেওয়ার চেষ্টা করছি। বন্যার পানি কমলে অথবা স্থির থাকলে হয়তো কিছু জমির পাঁকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবো।

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ উপজেলায় কর্মরত কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে আমরা সার্বক্ষনিক কৃষকদের সাথে মাঠে আছি। কিছু জমির ধান পানিতে ডুবে গেলেও বাকী ধানগুলো কর্তন করতে হারভেষ্টার মেশিন সহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে ধান কাটতে সহযোগীতা করা হচ্ছে।

রিফাত

×