ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

স্বপ্ননগরে ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছে চার জেলার মানুষ

কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, আলফাডাঙ্গা,ফরিদপুর

প্রকাশিত: ২১:০৫, ৯ জুন ২০২৫

স্বপ্ননগরে ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছে চার জেলার মানুষ

মধুমতী নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা ‘স্বপ্ননগর’ যেন এ প্রজন্মের আনন্দবিন্দু। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কাতলাশুর গ্রামে অবস্থিত এই সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্প এখন শুধুই গৃহহীনদের ঠিকানা নয়—এটি পরিণত হয়েছে উৎসবপ্রেমী মানুষের এক মিলনমেলায়।

চলমান ঈদুল আজহার ছুটিকে ঘিরে এখানকার চিত্র যেন বদলে গেছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে মধুমতীর পাড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপচে পড়ে দর্শনার্থীদের আনাগোনা। কেউ এসেছেন পরিবারের সদস্য নিয়ে, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে এক কাপ চায়ের আড্ডায় মেতে উঠতে।

মধুমতীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ছোটখাটো খাবারের দোকান, কফি কর্নার, বাচ্চাদের খেলনার দোকান, ফুচকা-চটপটির স্টল। ঈদের ছুটির দিনে এখানে এসে একবার না খেলে যেন উৎসবই অসম্পূর্ণ থেকে যায়—এমনটাই বললেন বোয়ালমারী থেকে আসা এক দর্শনার্থী।

স্বপ্ননগরের বিশেষ আকর্ষণ এর অবস্থানগত গুরুত্ব। চারপাশে রয়েছে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়ন, মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলা, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা এবং ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা—এই চার জেলার সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় প্রতিদিনই নানা জায়গা থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই নদীপাড়ে আনন্দ নিতে।

এক কফি দোকানদার জানালেন, “ঈদের ছুটিতে বিকেল থেকেই দোকানে হাত ছাঁই ফেলার সময় থাকে না। এত মানুষ আসে যে সব সামগ্রী বিক্রি শেষ হয়ে যায় সন্ধ্যার আগেই।”

স্থানীয়রা জানান, ঈদের সময় ছাড়াও পহেলা বৈশাখ, দুর্গাপূজা কিংবা সাপ্তাহিক ছুটিতেও এখানে দেখা মেলে উপচে পড়া ভিড়ের। এমনকি টেলিভিশনের নাটক, বিজ্ঞাপন কিংবা সিরিয়ালের শুটিংও হয় এই স্বপ্ননগরের নদীপাড়ে।

তরুণদের অনেকেই বলেন, “এখানে এসে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে যেমন প্রশান্তি পাওয়া যায়, তেমনি বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো সময়ও হয়ে ওঠে স্মরণীয়।”

সব মিলিয়ে ঈদ উৎসবকে ঘিরে ‘স্বপ্ননগর’ হয়ে উঠেছে এলাকার মানুষের প্রাণের স্পন্দন। এক সময়ের গৃহহীনদের আশ্রয়স্থল এখন উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু।

Jahan

×