
এক টাকায় দাঁড়ি ২ টায় চুল কেঁটে শুরু তার কর্ম জীবন। নব্বই দশকে কাজ শিখে নিজেই দোকান দিয়েছেন। টানা ৩২ বছর এই পেশাতে চলছে তার সংসার। নাপিত জহুরুল (৪৫) নামে পরিচিত পাবনা সদরে। তার কাজের দক্ষতা আর কাজের মান উচ্চমানের হওয়ায় দোকানে ভীড় লেগেই থাকে। পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নে জনপ্রিয় নাপিত জহুরুল ইসলাম।
নাপিতের কাজ শিখেন ছোট বয়সে মাত্র ১২ বছর বয়সেই কাজের দক্ষতা অর্জন করেন। কাঠের চেয়ার আর কোন রকমভাবে টিন দিয়ে তৈরি দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও কঠোর পরিশ্রম আর কাজের দক্ষতা তাকে নাপিত জগৎতে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তার কাছে চুল ও দাঁড়ি কাঁটতে সিরিয়ালে বসে আছে অনেকে। এর মধ্যে মো: ইকবাল হোসেন বলেন, এই নাপিতের কাজের গুনগত মান উচ্চমানের হওয়ায় আমরা সময় নিয়ে বসে থেকে চুল, দাঁড়ি কেঁটে যাই৷
এই বিষয়ে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন বলেন, শুধু এই ইউনিয়নে নয় পাবনা জেলা থেকে অনেক মানুষ জহুরুলের কাছে আসে ইতিমধ্যে কাজের দক্ষতায় বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।
ঈদের ছুটিতে ঢাকা রাজশাহী থেকে অনেকে এসেছে তার কাছে চুল কেঁটে ছুটি শেষে ফিরবেন কর্মস্থলে। এই রকম একাধিক ব্যক্তির সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তারা জানান, আমরা অপেক্ষায় থাকি কবে গিয়ে জহুরুলের কাছে চুল দাঁড়ি মনের মতো করে কাঁটবো।
নাপিত জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি কাজ মনোযোগ সহকারে করি। কাস্টমার যেম চায় তেমন কাজ করার চেস্টা করি, ৩২ বছর কাজ করছি। দীর্ঘদিন কাজ করার ফলে অনেক লোক আমাকে কাজের মাধ্যমে চিনে। ১ টায় দাঁড়ি ২ টাকায় চুল কাঁটা থেকে শুরু হয় আমার কর্মজীবন। এখন তো কাজের মূল্য আছে তবে আমাদের মূল্যয়ণ কমেছে৷ তিনি আরো বলেন, এই কাঁচি আর ক্ষুরে কর্মজীবন ৩২ বছর কেটে গেছে। আমি দ্বিতীয় কোন কাজ করি না। এই কাজই আমার একমাত্র পেশা। কাজ করে সংসার চালিয়ে ছেলে-মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করার চেস্টা করছি। সে আরো বলেন, আপনাদের মত অনেক সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের মানুষ আসে আমার কাছে চুল,দাঁড়ি কাঁটতে।
Jahan