বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনলোজি (বিআইআইটি), বগুড়ার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার শহীদ টিটু মিলনায়তনে দিনব্যাপী রজতজয়ন্তী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
“আমাদের অভিযাত্রা, পঁচিশ বছরের অগ্রযাত্রা” শিরোনামে আয়োজিত এই উৎসব প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. সাহাবুদ্দীন সৈকতের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে বিআইআইটি। কারিগরি শিক্ষার প্রসারে এই প্রতিষ্ঠানটি উত্তরাঞ্চলের একটি অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ২০১৭ সালে বিআইআইটি দক্ষিণ এশিয়ার সেরা আইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে।
সোমবার সকাল ৯টায় বিআইআইটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্মারক বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি বিআইআইটির ক্যাম্পাস থেকে মফিজ পাগলার মোড়, ইয়াকুবিয়া মোড়, জলেশ্বরীতলা ও সাতমাথা প্রদক্ষিণ করে শহীদ টিটু মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়।
মিলনায়তনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিআইআইটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রকৌশলী সাহাবুদ্দীন সৈকত। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা স্মারক উপহার দেন বিআইআইটির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিময় শিক্ষাজীবনের নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। কেউ কেউ আবেগমথিত কণ্ঠে কথা বলেন সহপাঠীদের কথা স্মরণ করে। পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিআইআইটির শিক্ষার্থীরা সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে বিআইআইটির বিভিন্ন সময়ের সহস্রাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
বর্তমানে বিআইআইটির অধীনে সিভিল, আর্কিটেকচার, কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্যাল, টেক্সটাইল, গার্মেন্টস ও অটোমোবাইলসহ বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এসব বিভাগ থেকে পাশ করে অনেক শিক্ষার্থী দেশ-বিদেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের সঙ্গে কর্মরত রয়েছেন।
প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তিতে আয়োজিত এই উৎসব বিআইআইটির এক গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে থাকলো-যেখানে অতীতের স্মৃতি, বর্তমানের প্রাণচাঞ্চল্য ও ভবিষ্যতের প্রত্যাশা একত্রে মিলিত হয়েছে।
রাজু
