ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

রাঙ্গাবালীতে লাম্পি স্কিন রোগে গবাদিপশুর মৃত্যু, আতঙ্কে কৃষক-খামারিরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গাবালী,পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ১০ জুন ২০২৫

রাঙ্গাবালীতে লাম্পি স্কিন রোগে গবাদিপশুর মৃত্যু, আতঙ্কে কৃষক-খামারিরা

দৈনিক জনকণ্ঠ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় গবাদিপশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে একাধিক গরু মারা গেছে। ব্যাপক হারে রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন কৃষক ও খামারিরা। ভ্যাকসিন ও কার্যকর চিকিৎসা না থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খামার ও ঘরে ঘরে এই রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বাড়ছে। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে এখনও পর্যাপ্ত টিকা বা ওষুধ সরবরাহ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিনে  বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রান্তিক কৃষক মো. পিয়েল দফাদারের দুটি গরুর একটি লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এতে সে চরম হতাশ ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তার মতো আরও অনেক কৃষক ও খামারি একই দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।

মৌডুবী ইউনিয়নের মো. সেলিম হাওলাদার বলেন, “আমার একটি গরু লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত হয়েছে। পাশে আরও দুটি গরু আছে, তারাও ঝুঁকিতে। কোনো ভ্যাকসিন পাচ্ছি না, যা বাজারে আছে তাও কাজ করছে না। এগুলো কোনো কাজে আসছে না।”

চরমোন্তাজ ইউনিয়নের খামারি দেলোয়ার হোসেন বলেন, “গরু বেচে সংসার চলাই। এখন এই রোগে গরু মরে গেলে সব শেষ। সরকারের কাছে অনুরোধ—যেন দ্রুত এই রোগের কার্যকর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।”

রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: শাহজাহান বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ ২০১৯ সালে দেশে প্রবেশ করে। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ, মশা মাছির মাধ্যমে দ্রুত ছড়ায়। চিকিৎসা সীমিত হলেও একমাত্র টিকা দিয়েই প্রতিরোধ সম্ভাব।

বর্তমানে সরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত টিকা নেই, তবে আমরা কৃষকদের  উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সচেতন করছি। বেসরকারিভাবে টিকা পাওয়া গেলেও তা ব্যয়বহুল ।

তিনি আর ও জানান, গরুর বাচ্চাদের  এই রোগ বেশি হয়। আগামী বছর সরকারি পর্যায় ভ্যাকসিন সরবরাহে  আশা রয়েছে।রোগটি দ্রুত প্রতিরোধ না হলে গরুর মৃত্যু ও আর্থিক ক্ষতি আর ও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তারা দ্রুত সরকারি  উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন।

হ্যাপী

×