ছবিঃ সংগৃহীত
রংপুরসহ উত্তরবঙ্গ প্রত্যেকটা বিষয়ে উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, আমাদের অপ্রাপ্তির অসংখ্য জায়গা রয়েছে। শুধু রংপুর নয়, গোটা উত্তরবঙ্গ যেভাবে উন্নয়ন-বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে, প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের দীর্ঘ সময়ের আক্ষেপ ও হতাশা রয়েছে। ঢাকা থেকে রংপুরে রেলপথে আসতে গেলে সিরাজগঞ্জ থেকে এতদূর ঘুরে বগুড়া হয়ে তারপর আমাদের আসতে হয়। যদি বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ রেললাইন থাকত, রংপুর অঞ্চলের মানুষের ঢাকা থেকে রংপুর আসতে অন্তত চার ঘণ্টা সময় কম লাগত।
সোমবার ৯ জুন দুপুরে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মোফাজ্জল হোসেন মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে 'সম্প্রীতি ও ঐক্য সমাবেশ ও নবীনবরণ' অনুষ্ঠানে আখতার হোসেন এসব কথা বলেন। ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড মেডিকেল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (আমসা) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিগত সময়ের মতো রংপুরসহ উত্তরবঙ্গের মানুষ এখনও 'ঈদ স্পেশাল ট্রেন' থেকে বঞ্চিত থাকায় আক্ষেপ প্রকাশ করে আখতার হোসেন বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের উত্তরাঞ্চলের মানুষকে ঈদের সময় ট্রেনের ছাদে করে আসতে হয়। আমাদের জন্য স্পেশাল ট্রেন থাকে না। রংপুরের মানুষ যাতে সহজে ঢাকা-রংপুর যাতায়াত করতে পারে, সে জন্য সড়কপথ ও রেলপথের যে সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারের জন্য এনসিপি, বিএনপি, জামায়াত সকলকে এই সুরে কথা বলতে হবে। উত্তরাঞ্চলের স্বার্থে আমরা কখনো মতপার্থক্যকে প্রাধান্য দেব না।
তিস্তা নদীবেষ্টিত রংপুর অঞ্চলের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, যদি তিস্তা নদীকে শাসন করা হতো, বাঁধ থাকত, নদীর গভীরতা থাকত, পানির প্রবাহ সঠিকভাবে হতো, তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠত। তাহলে এই নদী আমাদের জন্য কয়েকগুণ সৌভাগ্যের প্রতীক হতো। সম্প্রতি আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি। সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা আশাবাদী, দলমতের পার্থক্য চাই না। আমরা আমাদের তিস্তা সমস্যার সমাধান চাই।
ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড মেডিকেল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (আমসা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর এ টি এম আজম খানসহ স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতারা বক্তব্য দেন।
মারিয়া
