
ছবি:সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্য ও এর বাইরের দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধের আগুন পারমাণবিক স্থাপনার সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসরাইলের পক্ষ থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার হুমকি বাড়ার মধ্যেই রাশিয়া শক্ত অবস্থান নিয়েছে। রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াফকভ এক বিস্ফোরক বক্তব্যে জানিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো সামরিক হামলা সম্পূর্ণরূপে গ্রহণযোগ্য নয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই ধরনের হামলা শুধুমাত্র মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনে না, বরং রেডিওলজিক্যাল বিপর্যয়ের মাধ্যমে পুরো অঞ্চলে ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, উত্তেজনা প্রশমিত করতে এখনই প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে হবে, কারণ সামরিক হামলা কোনো সমাধান নিয়ে আসবে না, বরং সংকট আরও বাড়িয়ে তুলবে।
রাশিয়ার এই হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক রাজনীতির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। কারণ মস্কো শুধু ইরানের পক্ষে কথা বলছে না, পরোক্ষভাবেই ইসরাইলের সামরিক কৌশলকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
অন্যদিকে, ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসির জাদেহ আরও কঠোর কণ্ঠে বলেন, “ইসরাইলের হুমকি সম্পূর্ণ হাস্যকর। তারা আমাদের মোকাবেলার সামর্থ্যই রাখে না।” আল-মায়াদি্নকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করেন, যদি ইসরাইল হামলা চালায়, তা হবে নিজেদের আত্মবিনাশের পথপ্রদর্শক। তিনি যোগ করেন, যারা সত্যিই ইরানকে হুমকি দিতে পারে, তারা এমন বকবক আওড়ায় না; ইসরাইলের কথাবার্তা সবই ভিত্তিহীন।
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল হোসেন সালামীও একই সুরে বলেছেন, ইরান প্রতিটি সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। অভ্যন্তরীণ বা বহিরাগত যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় তারা দৃঢ় অবস্থানে থাকবে।
এই অবস্থায় প্রশ্নটি আরও জোরালো হচ্ছে, যদি ইসরাইল সামরিক অভিযান শুরু করে, তাহলে এই সংঘাত আঞ্চলিক সীমানা পেরিয়ে বৈশ্বিক সংকটের দিকে ঝুঁকবে কি না। এখন আর প্রশ্ন শুধু যুদ্ধ হবে কিনা নয়, বরং যুদ্ধ হলে শেষ হবে কার ধ্বংসে।
মারিয়া