ছবি:সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসীবিরোধী নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ আরও সহিংস রূপ নিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর হুঁশিয়ানি উপেক্ষা করে টানা তৃতীয় দিনের মতো রাজপথে নেমেছে শত শত মানুষ। সরকারের ধরপাকড় ও অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে শহরের বিভিন্ন সড়ক।
আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কঠোর অবস্থানে গেছে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের দৃঢ় অবস্থানে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে দফায় দফায় সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ডের অন্তত ৩০০ সদস্য। পুলিশ সদস্যদের রাস্তায় ঘোড়ায় চড়ে টহল দিতেও দেখা যায়। আন্দোলন দমনে আরও সেনা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেল সরকার।
এমনকি অস্ত্রের মুখেও থামেনি বিক্ষোভকারীদের স্লোগান। প্ল্যাকার্ড হাতে তারা রাস্তায় অবরোধ গড়ে তোলে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে 'সত্যিকারের সন্ত্রাসী' বলে আখ্যা দেন অনেকেই। তাদের মতে, অভিবাসীরা অপরাধী নয়, বরং তারা পরিবারের জীবিকার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে চায়।
বিক্ষোভে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি, ইট-পাটকেল, বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও ফ্ল্যাশব্যাং। চলে ব্যাপক ধরপাকড়।
লস অ্যাঞ্জেলেস ছাড়াও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সান ফ্রান্সিসকোসহ ক্যালিফোর্নিয়ার অন্যান্য শহর ও উহায়ু অঙ্গরাজ্যে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, “পুলিশ বা ন্যাশনাল গার্ডদের ওপর হামলা হলে তার জবাব হবে আরও সহিংস।”
ফেডারেল সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য সরকার। গভর্নর গ্যাবিন নিউসম ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপকে অবৈধ ও নৈতিকতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে জানান, প্রয়োজনে ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
ছামিয়া
