ছবিঃ জনকণ্ঠ
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে হাজারো পর্যটককে মুখরিত হয়েছে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শহরে সব বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছে দর্শনার্থীরা। সোমবার সকাল থেকে জেলার সবুজ পাহাড়, ঝর্ণা ও প্রকৃতি ঘেরা সৌন্দর্য দেখতে ঈদের টানা ছুটিতে হাজারো পর্যটক ভিড় জমাতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে পর্যটন স্পট ঘুরে জানা যায়, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি, মেঘলা ও নীলাচল'সহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে হাজারো পর্যটকের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। ঈদের ছুটিতে স্থানীয় দর্শনার্থী ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা আনন্দ ভাগাভাগি করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। স্মরণীয় মুহূর্তগুলো সাক্ষী রাখতে পাহাড়ের চূড়ায় ক্যামেরাবন্দি করছেন কেউ কেউ। পাশাপাশি স্থানীয় পাহাড়ে উৎপাদিত আম, পেঁপে ও কলা'সহ বিভিন্ন ফ্রুট ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন যার যার বাড়িতে।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানায়, টানা ছুটিতে এবার হোটেল মোটেল গুলোতে আগে থেকেই ৯০ শতাংশ বুকিং করা ছিল। এছাড়া গেল রমজানের ঈদের ছুটিতে পর্যটক চেয়ে এবার টানা ছুটির ১০দিনের পর্যটক আগমনের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বান্দরবানের হোটেল-মোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের সরকারি ছুটিতে বান্দরবান সদরের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে। এছাড়া ঈদের আগে থেকেই হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে প্রায় আগাম বুকিং হয়ে যায়। শহর ও আশপাশের এলাকায় শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এসব জায়গায় কয়েক হাজার পর্যটক আনাগোনা দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, লামা-আলীকদম উপজেলায় গড়ে উঠেছে নতুন নতুন রিসোর্ট। এসব রিসোর্টেও প্রচুর সংখ্যক পর্যটক ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের আনন্দে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে।
বান্দরবান ট্যুরিস্ট রিজিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান ইকবাল চৌধুরী জানান, ঈদের ছুটিতে দেবতাখুম, নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাত ও চিম্বুকসহ গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই শিফটে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, পার্বত্য বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার পর্যটন স্পটগুলো ভ্রমণে প্রশাসনের জারিকৃত ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয। এসব উপজেলার পর্যটন স্পষ্ট কেন্দ্রগুলোতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর থেকে পর্যটকদের আগমন অনেক বাড়ছে।পর্যটকরা ভ্রমণে আসায় অনেক খুশি বান্দরবানের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সাব্বির
