
ছবিঃ সংগৃহীত
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, একতরফাভাবে এপ্রিলে নির্বাচনের টাইমলাইন নির্ধারণ করে প্রধান উপদেষ্টা নতুন করে রাজনৈতিক সংকট বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে সরকারের উদ্দেশ্য ও নিরপেক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকেও প্রশ্ন উঠেছে। সরকারের এমন আচরণ জনগণকে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে নামার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা সদরে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো চত্বরে অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের আয়োজিত এই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ এবং ২৪শে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার, আহত ও বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে হামলা-মামলা, জেল ও জুলুমের শিকার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত সকলের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে এমরান সালেহ প্রিন্স বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, দুই-তিনটি দল ছাড়া বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রীয় শক্তি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দাবী করলেও হঠাৎ করে এপ্রিলে নির্বাচনের একতরফা টাইমলাইন ঘোষণা করায় সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, কর্তৃত্ববাদী একনায়ক হাসিনার মতো নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করা হচ্ছে। ড. মুহম্মদ ইউনূস সরকারকে সতর্ক করেন, যদি তারা নির্বাচন সংক্রান্ত একতরফা পরিকল্পনা পরিহার না করে, তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করবে না।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশে যতই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হোক না কেনো, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে তারেক রহমান ডাক দিলে ঢাকায় তিল ধারণের জায়গা থাকবে না এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণ ঢাকা ত্যাগ করবে না। এমন পরিস্থিতি বিএনপি চায় না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপি গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধূলিসাৎ হতে দেবে না। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, নির্ধারিত নির্বাচনের টাইমলাইন পুনর্বিবেচনা করে রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে নির্বাচনের নতুন সময়সীমা ঘোষণা করা হোক।
সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির কাছে দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্র সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বাংলাদেশে যে কোনো অপতৎপরতা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি রুখে দেবে। গ্রাম-শহরে বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার দেখে মহল বিশেষ দিশেহারা। কোনো কূটচাল বিএনপির জয়যাত্রা রুখে দিতে পারবে না। জনগণ ও গণতন্ত্রের বিজয়ই বিএনপির বিজয়। তিনি বলেন, জনগণ ও গণতন্ত্রের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।
অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন, ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক আযহারুল ইসলাম কাজল, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মনিক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মারিয়া