
ছবি: জনকণ্ঠ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঈদকে কেন্দ্র করে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে বিভিন্ন পার্ক থেকে শুরু করে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সব শ্রেণির মানুষের ঢল নেমেছে কেরানীগঞ্জের পার্ক, ক্যাফে ও বিনোদন কেন্দ্রে।
আজ (০৯ জুন) সোমবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের বেশ কয়েকটি ক্যাফে, রিসোর্ট ও বিনোদন কেন্দ্রে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বেড়ানোর পাশাপাশি কেরানীগঞ্জে ঈদ উদযাপনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছে এসব বিনোদন কেন্দ্র। সারা বছর নানা ব্যস্ততায় যারা ঘুরতে পারেন না, ঈদের ছুটিতে তারা পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে—রামেরকান্দা ক্যাফে পল্লী, আহমেদ সাগর ক্যাফে, ক্যাফে চারুলতা, পদ্ম পুকুর ক্যাফে, ক্যাফে-১০, শরীফ ফুড কুড, আনোয়ার ম্যাজিক আইস ল্যান্ড, শ্যামল বাংলা রিসোর্ট, বেলনা ইকো পার্ক, গ্রীন ভিউ ক্যাফে ইত্যাদি। এসব কেন্দ্রে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
রামেরকান্দা ক্যাফে পল্লীতে ঘুরতে আসা শিমুল বলেন, “ঈদের ছুটিতে কর্মময় জীবনের ব্যস্ততা ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করতে এসেছি। ঈদের দিন ও পরদিন আত্মীয় বাড়িতে দাওয়াত ছিল, তৃতীয় দিনে সবাইকে নিয়ে ক্যাফেতে ঘুরতে এসেছি। ঈদের ছুটিতে সবাইকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি।”
ক্যাফে পদ্ম পুকুরে ঘুরতে আসা আশিক বলেন, “ঈদে আট দিনের ছুটি পেয়েছি। তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। তবে ঈদে যানবাহনের বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। তারপরও ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারছি— এটাই বড় বিষয়।”
শরীফ ফুডে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা ফেরদৌস বলেন, “প্রাইভেট একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। ঈদের ছুটিতে সবাইকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। এখন কেরানীগঞ্জে অনেক পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র হওয়ায় আমাদের আর ঢাকা যেতে হয় না। এমনিতেই বাচ্চাদের নিয়ে বের হওয়ার সময় পাই না। ঈদের ছুটিতে সবাইকে নিয়ে একটু সময় করে ঘুরতে বের হয়েছি। সারাদিন ঘুরে রাতে বাসায় ফিরব।”
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া বলেন, “ঈদকে কেন্দ্র করে কেরানীগঞ্জের প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর একাধিক টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। তাছাড়া সাদা পোশাকে কেরানীগঞ্জ মডেল ও কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। আমরা ঈদে দর্শনার্থীদের সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।”
এম.কে.