আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনের উত্তাপ যখন গুলিস্তানের জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে, তখন মাঠের বাইরে ছায়া যোদ্ধার মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আসন্ন বাংলাদেশ বনাম সিঙ্গাপুর ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষ নিরাপত্তা মহড়া।
জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই মহড়ায় নেতৃত্ব দেয় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তাদের সঙ্গে ছিলো সুদক্ষ সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং কে-নাইন (K9) বা প্রশিক্ষিত কুকুর বাহিনী।
মহড়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল যেকোনো সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা বা বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি যাচাই করা। এই মহড়ার মাধ্যমে ফুটবলপ্রেমীদের এবং আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের জন্য একটি নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ নিশ্চিত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি জানিয়েছে, ম্যাচের দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকবে কড়া নজরদারি। স্টেডিয়ামের ভেতরে এবং আশেপাশে মোতায়েন থাকবে ইউনিফর্ম পরিহিত ও সাদা পোশাকধারী বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থা।
পাশাপাশি যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত থাকবে সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল এবং কে-নাইন ইউনিট। মাঠে শুধু প্রতিপক্ষ নয়, নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জকেও যেন গোল দিতে চায় ডিএমপি।
এই নিরাপত্তা মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা। সংবাদকর্মীদের সামনে এই মহড়ার মাধ্যমে ডিএমপি বার্তা দিয়েছে—‘খেলা শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চয়তাও আমাদের দায়িত্ব।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম খেলা দেখতে আসা সকল দর্শনার্থীর সহানুভূতি ও সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচে মাঠের উত্তাপ যতই বাড়ুক, মাঠের বাইরে থাকবে শান্তির নিশ্চয়তা—এটাই ডিএমপির অঙ্গীকার।
Jahan
