ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সারাদেশেই সামগ্রিকভাবে, দুর্ভাগ্যজনক এবং অত্যন্ত উদ্বেগজনকভাবে শিক্ষার মান খারাপ হয়ে গেছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ৯ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৯:০৫, ৯ জুন ২০২৫

সারাদেশেই সামগ্রিকভাবে, দুর্ভাগ্যজনক এবং অত্যন্ত উদ্বেগজনকভাবে শিক্ষার মান খারাপ হয়ে গেছে

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাদেশেই সামগ্রিকভাবে, দুর্ভাগ্যজনক এবং অত্যন্ত উদ্বেগজনকভাবে শিক্ষার মান খারাপ হয়ে গেছে মন্তব্য করে বলেছেন, এর জন্য কে কতটুকু দায়ী তা উল্লেখ না করেই তিনি শিক্ষার মান কীভাবে উন্নয়ন করা যায়—এ বিষয়ে কোনো প্রকার কম্প্রোমাইজ করা উচিত নয় এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। শিক্ষক থেকে শুরু করে প্রশাসনসহ সবাইকে শিক্ষার গুণগত মান রক্ষার চেষ্টা করতে হবে।

তিনি আজ সোমবার (৯ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁও রিভার ভিউ হাইস্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, একটি কথা সবার সব সময় মনে রাখতে হবে। আমরা যে এত আন্দোলন করি, বিপ্লব, বিদ্রোহ ও গণঅভ্যুত্থান করি, আমরা প্রাণ দেই; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের শিক্ষার মান আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। এখন বিশ্বের তুলনায় পুনরায় অনেক নিচে অবস্থান করছি। জাতি পুনর্গঠন ও দেশ পুনর্গঠনে যারা আমরা নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাই, তাদের সব সময় মনে রাখতে হবে—জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি, কোনো কম্প্রোমাইজ করবেন না। ছাত্রদেরকে পড়া ঠিকমতো বুঝিয়ে দিবেন। তারা যেন বুঝতে পারে, সেই জিনিসটা নিশ্চিত করবেন। জাতি পুনর্গঠন করতে গেলে আমাদের ছাত্রদের তৈরি করতে হবে। তারা যেন সকল ক্ষেত্রেই তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারে এবং বর্তমান যে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব, এই বিশ্বে টিকে থাকতে হলে জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। এখন তো আরও কঠিন হয়ে গেছে। এখন টেকনোলজি এমন এক জায়গায় চলে গেছে, যেটা অতীতে আমরা যদি প্রভাবিত করতে না পারি তাহলে আমরা পিছিয়ে যাব, সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো না।

গণতন্ত্রের প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন, শুধু গণতন্ত্র হলেই তো হবে না। সে গণতন্ত্রকে বুঝতে হবে। গণতন্ত্রের যেমন অধিকার আছে, তেমনি দায়িত্ব আছে। সেই দায়িত্ব পালন করলে গণতন্ত্র সত্যিকার অর্থেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে পারে। আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার চাই, নির্বাচন চাই, আমরা অন্যান্য অধিকার ও ছাত্রদের অধিকার চাই।

তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, রাষ্ট্রকে সুন্দর করে গড়তে হলে এবং একটি সুন্দর জাতি নির্মাণ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই লেখাপড়া করতে হবে। লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নাই। লেখাপড়া করতেই হবে, খেলাধুলা করতে হবে। সবখানেই নিজের যে যোগ্যতা, তা প্রমাণ করতে হলে সেভাবে কাজ করতে হবে এবং প্র্যাকটিস করতে হবে।

এর আগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তীর উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন। এ সময় জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা, ক্রেস্ট বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ইমরান

×