ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের হুমকি, ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ৯ জুন ২০২৫

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের হুমকি, ভারতে না যাওয়ার পরামর্শ

ছবি:সংগৃহীত

ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এসব দেশে ভ্রমণ না করার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এই সতর্কবার্তা জারি করে। এতে বলা হয়, অমিক্রনের নতুন সাব ভেরিয়েন্ট যেমন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন-১ ও এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বিভিন্ন দেশে বাড়ছে, যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সকল স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, দেশে প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই মজুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জনসচেতনতা বাড়াতে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রচার করতে হবে এবং জনগণকে ভারতসহ সংক্রমণপ্রবণ দেশগুলোতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে, আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা জানান, করোনার আরও দুটি নতুন ধরন— এক্সএফজি ও এক্সএফসি শনাক্ত হয়েছে, যেগুলো অমিক্রন জেএন-১ এর উপধরন এবং সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, দিনে সাতবার বা প্রয়োজনমতো অন্তত ২৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নাক-মুখ ঢাকতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

 

 

সন্দেহজনক রোগীদের বিষয়ে বলা হয়েছে, কেউ অসুস্থ হলে তিনি যেন ঘরে থাকেন এবং প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। রোগীকে অবশ্যই মাস্ক পরতে বলা হয়েছে এবং জটিল পরিস্থিতিতে আইইডিসিআরের হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মনে করে, সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ ও সর্বসাধারণের সতর্কতা বজায় রাখার মাধ্যমেই এই নতুন সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

ছামিয়া

×