
ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনেও মৃত্যু আর ধ্বংস যেন নিয়তি হয়ে উঠেছে গাজার মানুষের জন্য। দখলদার ইসরায়েলের ছোড়া এফ-৬ ক্ষেপণাস্ত্র ও স্থল অভিযানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে উপত্যকার উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে জাবালিয়া, বেতলাহিয়া এবং খান ইউনুসের আল-মাওয়াসির শরণার্থী শিবির।
বর্বর এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু ফিলিস্তিনি। আহতের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে, কিন্তু সেই তুলনায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধের সরঞ্জামের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দের আল-বালাহর শহীদ আল আকসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জ্বালানি না থাকায় মাত্র দু’দিনের মধ্যেই হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান, হত্যা হামাস নেতার
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ‘সেইতের’ তথ্যের ভিত্তিতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও চালানো হয় স্থল অভিযান। আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) দাবি করেছে, তারা হামাস-সম্পৃক্ত মুজাহিদিন ব্রিগেডসের নেতা আহমেদ আবু সারিয়াকে হত্যা করেছে। এছাড়া, সিরিয়ার মাজারেদ বেইজজিন এলাকায় হামলা চালিয়ে আরও এক হামাস নেতাকে হত্যা করার কথাও জানিয়েছে আইডিএফ।
ত্রাণের আশায় জড়ো হয়ে গুলিবর্ষণের শিকার
রাফায় খাবারের আশায় ত্রাণকেন্দ্রে ভিড় করা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী টিয়ারশেল ও এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গাজা হিউমেনিটারিয়ান ফান্ডস (GHF) আরও দুটি ত্রাণকেন্দ্রে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী খাবার বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে।
তেল আবিবে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্ত করার দাবিতে তেল আবিবের রাস্তায় নেমেছে সাধারণ জনগণ। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করে বলেন, “আমরা ভালো করেই জানি কেন নেতানিয়াহু যুদ্ধ বন্ধ না করে চলিয়ে যাচ্ছেন।”
তারা মার্কিন বিশেষ দূতের কাছে আহ্বান জানান, নেতানিয়াহুকে দ্রুত আলোচনার টেবিলে আনতে।
একজন বিক্ষোভকারী বলেন,
“আমার প্রতিবাদ সরকারের বিরুদ্ধে। আমার মনে হয় না তারা ইসরায়েলিদের প্রতিনিধিত্ব করছে। আমরা দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।”
আঁখি