
ছবিঃ দৈনিক জনকণ্ঠ
দর্শক হারিয়ে গেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রুহিয়া সিনেমা হল থেকে। রুহিয়া ২ টি সিনেমা হলের মধ্যে ২টিই বন্ধ হয়েছে।নিম্নমানের ছবি ও ইন্টারনেটের কারণে হাল ব্যবসায় ধস নেমেছে। ফলে হল ভেঙে করা হয়েছে বসতবাড়ি, দোকান, কাউন্টার মার্কেট। সব মিলে রুহিয়া সিনেমা হল এখন বিলুপ্তির পথে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রুহিয়া কর্ণফুলী সিনেমা হলকে করা হয়েছে ফার্নিচারের দোকান ঘর,হানিফ কাউন্টার। শাবানা হলটি ভেঙে বাননো হয়েছে বসত বাড়ি। পার্শ্ববর্তী এলাকা আটোয়ারী প্যারিস সিনেমা হলের জায়গায় করা হয়েছে মার্কেট।এছাড়া অন্যান্য হলগুলোর কোনো চিহ্নই পাওয়া যায় না।
একটা সময় ছিল, যখন শুধু উৎসব নয় বরঞ্চ সারা বছর সপরিবারে সিনেমা হলে যেতেন সিনেমা প্রেমী দর্শকরা। পারিবারিক এবং সামাজিক ঘরানার সিনেমাগুলো সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে উপভোগ করতে পারতো। এমনও দেখা যেত যে তখন দর্শকের চাপে টিকিট সংকট দেখা দিয়েছে। সিনেমা হলের সামনে সাইনবোর্ডে লেখা থাকতো ‘হাউজফুল’।
নানা বয়সের নারী-পুরুষের কোলাহলে মুখরিত ছিল সিনেমা হল প্রাঙ্গণ। আসন না পেলেও হলের দরজায় দাঁড়িয়ে সিনেমা দেখতো। দিনে যে ক'টি সিনেমা চলতো এবং যতদিন চলতো প্রতিদিন এমন উপচে পড়া ভীড় দৃশ্যমান ছিল।
রুহিয়া কর্ণফুলী সিনেমা হলের একটি ঘটনা ঘটেছিল,সে সময় জনপ্রিয় বাংলা ভারতীয় সিনেমা ‘নাগিন’ প্রদর্শনীর সময় হলের পর্দার সামনে জীবন্ত সাপ চলে এলে আতঙ্কিত দর্শকরা ভয়ে পালিয়ে যায়। সেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দর্শক মনে।
সময়ের পরিক্রমায় তা এখন শুধুই অতীত। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও রুহিয়ায় সিনেমার সেই জৌলুস আর নেই। তাই ভালো সিনেমার অভাবে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিনেমা হল। মূলত চলতি শতকের শূন্য দশক থেকেই সিনেমা ব্যবসায় ধস নামে। এরপর থেকেই একটার পর একটা বন্ধ হতে থাকে সিনেমা হল।
কালের বিবর্তনে সেসব স্মৃতি এখন অতীত। প্রায় এক যুগ ধরে একে একে বন্ধ হয়ে গেছে রুহিয়া ২ টি সিনেমা হল। তবে ভালো সিনেমা তৈরি এবং সরকারি সহযোগিতা পেলে আবার হল ব্যবসায় ফিরতে চান সংশ্লিষ্টরা।
পৃথী