ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

পরিবেশ

পরিবেশ বিভাগের সব খবর

শিক্ষা খাতে সংস্কার

শিক্ষা খাতে সংস্কার

একটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে সে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর। আজকের শিক্ষার্থীরাই পড়াশোনা শেষ করে আগামীতে দেশের হাল ধরবে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ করবে। তাই তাদেরকে উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান করে যোগ্য করে গড়ে তোলা রাষ্ট্রের কর্তব্য। শিক্ষিত ব্যক্তিরা দেশের মূল্যবান সম্পদ। শিক্ষাব্যবস্থা ভালো হলে দেশে দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। সরকার যায় সরকার আসে কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থার উপযুক্ত সংস্কার হয় না। ফলে হাজারও শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষিত হয়েও বেকার থাকে। শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বাড়লেও দক্ষ জনশক্তি তৈরি হয় না। শিক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে আরও মানসম্পন্ন করা যায় যাতে দেশের শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর উন্নত দেশের শিক্ষার্থীদের রোগী তাল মিলিয়ে চলতে পারে সে বিষয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা থাকে না। শিক্ষার মাধ্যমেই একজন ব্যক্তি প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে। শিক্ষার মাধ্যমেই আমরা শিখি কীভাবে বৈধভাবে সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জীবিকা অর্জন করা যায়। শিক্ষা শুধু জীবিকা অর্জনের উপায় ও সমাজে টিকে থাকার কৌশলই শেখায় না বরং মানবিকতা, নৈতিকতা, ন্যায়-অন্যায় ও মনুষ্যত্ববোধও শেখায়। তাই দক্ষ হাতে দেশ চালানোর জন্য দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। শিক্ষাই পারে একজন ব্যক্তিকে সার্বিকভাবে দক্ষ কর গড়ে তুলতে। তাই দেশের মূলসংস্কার প্রয়োজন শিক্ষাখাতে। শিক্ষা ব্যতীত জাতি হিসেবে কখনোই বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। শিক্ষিত মানুষ ছাড়া কোনোভাবেই একটা দেশ অগ্রসর হতে পারে না। প্রকৃত শিক্ষা একদিকে যেমন দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব হ্রাস করবে অন্যদিকে সুশীল সমাজ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করবে। সব মিলিয়ে একটি শান্তিময় দেশ হিসেবে রূপান্তরিত হবে। শিক্ষাই মানুষের মানবীয় আচরণ ও মানসিকতার পরিবর্তনের মাধ্যমে সকল অনিয়ম ও অপরাধ কমাতে পারে। তাই সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি যেন সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উপযুক্ত সংস্কারের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

প্রকৃতির সৌন্দর্য, কবির অনুভূতি, চলমান বর্ষা

প্রকৃতির সৌন্দর্য, কবির অনুভূতি, চলমান বর্ষা

বর্ষাকে প্রকৃতির রানী বলা হয়ে থাকে। বর্ষার রূপ, রস, সৌন্দর্যে প্রকৃতি সজীব হয়ে ওঠে। শিল্পরসিক মন বর্ষার আহ্বানে অভিভূত হয়ে যায়। মনের গতিপ্রকৃতিও তখন কেমন যেনো কাব্যময় হয়ে ওঠে। টাপুর টুপুর বৃষ্টির দিনে বর্ষার গান যখন বেজে ওঠে তখন অন্যরকম একটা মোহমায়া কাজ করে। বর্ষা প্রকৃতিকে সতেজ, সিগ্ধ, কোমল করে তোলে। মরা নদ-নদী, পুকুর-ডোবা, জলাশয় নব আনন্দে জেগে ওঠে। হারানো রূপ, যৌবন পুনরায় ফিরে পায়। প্রাণ ফিরে পায় সবুজ প্রকৃতি। বৃষ্টির পানিতে সবুজ বৃক্ষরাজি আরো সবুজ ও সুন্দর হয়ে ওঠে। টিনের চালে বৃষ্টির টাপুর টুপুর শব্দে মন উদাস হয়ে যায়। বর্ষা সবুজ পাহাড়ের সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।