
ছবি: জনকণ্ঠ
শোভা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান কিংবা প্রাকৃতিক চিকিৎসা সব ক্ষেত্রেই জবা ফুলের রয়েছে অনন্য গুরুত্ব। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় Hibiscus, তার বৈজ্ঞানিক নাম Hibiscus rosa-sinensis। এটি মালভেসি (Malvaceae) পরিবারের অন্তর্গত এক চিরসবুজ গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ, যার সৌন্দর্য ও ঔষধিগুণ দুই-ই রয়েছে।
জবা ফুলের বিভিন্ন রঙ দেখা যায়, লাল, হলুদ, সাদা, কমলা ও গোলাপি। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় গাঢ় লাল রঙের জবা ফুল, যেটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা-অর্চনায় বিশেষ স্থান অধিকার করে।
বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ করলে, জবা ফুলের শ্রেণিবিন্যাস নিম্নরূপ:
- কিংডম: Plantae
- ডিভিশন: Angiospermae
- ক্লাস: Eudicots
- অর্ডার: Malvales
- ফ্যামিলি: Malvaceae
- জেনাস: Hibiscus
- প্রজাতি: rosa-sinensis
প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে জবা ফুলের পাপড়ি ও পাতা ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন রোগের প্রতিকারে। চুল পড়া রোধ, মাথার ত্বকের সমস্যা কমানো কিংবা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে জবা ফুলের নির্যাস ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে প্রাচীনকাল থেকেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জবা ফুলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। ফলে এটি শুধুই সৌন্দর্যবর্ধক ফুল নয়, বরং প্রাকৃতিক ও হালাল চিকিৎসার একটি মূল্যবান উৎস।
বাড়ির ছাদ বা উঠানে অল্প যত্নেই জবা গাছ বেড়ে ওঠে। এই গাছ শুধু সৌন্দর্যই নয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শহীদ