
বর্তমানে, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা হলো জার বোম্বা (Tsar Bomba), যা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমানে রাশিয়া) তৈরি করেছিল। এর মূল নাম ছিল এএন৬০২ হাইড্রোজেন বোমা (AN602 Hydrogen Bomb)। এটি ১৯৫৩ সালে আবিষ্কৃত হয় এবং ১৯৬১ সালের ৩০ অক্টোবর সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়, এটি সফলভাবে পরীক্ষা করা হয় আর্কটিক মহাসাগরের নোভেয়া জেমলিয়া দ্বীপপুঞ্জে। এই বোমার শক্তি ছিল ৫০ মেগাটন টিএনটি, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমায় ফেলা বোমার চেয়ে প্রায় ৩৩৩৩ গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল।
এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের পারমাণবিক সক্ষমতা প্রদর্শন করে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা থেকে নিরুৎসাহিত করা।
জার বোম্বার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ও প্রভাব:
শক্তি: ৫০ মেগাটন টিএনটি (৫০,০০০ কিলোটন)।
প্রকার: এটি একটি তিন স্তরবিশিষ্ট হাইড্রোজেন বোমা, যা থার্মোনিউক্লিয়ার ওয়েপন নামে পরিচিত।
-
বিস্ফোরণের ফলাফল:
-
বিস্ফোরণের ফলে ১৬০ কিলোমিটার (১০০ মাইল) উচ্চতার মাশরুম আকৃতির মেঘমালা তৈরি হয়েছিল।
-
এর শকওয়েভ প্রায় তিনবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছিল।
-
বিস্ফোরণের আলো ১,০০০ কিলোমিটার (৬২০ মাইল) দূর থেকেও দেখা গিয়েছিল।
-
প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূর থেকেও এর তাপে তৃতীয় মাত্রার পোড়া ঘটার সম্ভাবনা ছিল।
-
-
বর্তমান অবস্থা: জার বোম্বা বর্তমানে সামরিকভাবে কার্যকর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। এর বিশাল আকার ও ওজন (প্রায় ২৭ টন) এটিকে দূরবর্তী স্থানে পরিবহন করা অত্যন্ত কঠিন করে তোলে। সোভিয়েত ইউনিয়ন মাত্র দুটি এমন বোমা তৈরি করেছিল।
জার বোম্বা মূলত একটি "প্রোপাগান্ডা বোমা" হিসেবে কাজ করেছিল, যা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রযুক্তিগত ক্ষমতা এবং পারমাণবিক শক্তির চূড়া প্রদর্শন করেছিল।
ফুয়াদ