
ছবিঃ সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামীর ৭ দফা কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ দফা "সংখ্যানুপাতিক ভোট পদ্ধতি (পিআর)" নিয়ে কটাক্ষ করে ফেসবুকে বিতর্কে জড়িয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ইমরান খান।
৫ জুলাই (শনিবার) নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন: “সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোট হলে আমি ভোট দেব ডোনাল্ড ট্রাম্পকে, আর সংসদে গিয়ে দেখতে হবে হিরো আলমকে!”
তার এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং দলের ভেতরে-বাইরে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। বিশেষ করে জামায়াতের ঘোষিত ৭ দফা বাস্তবায়নের আন্দোলনের সময় শিবির নেতার এমন মন্তব্য দলীয় আদর্শ ও অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন অনেকে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে উঠেছে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ। সামাজিক মাধ্যমে তার পুরনো ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তাকে ছাত্রলীগের গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। ছবিগুলোর মাধ্যমে তার রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে নতুন করে সন্দেহ ও প্রশ্নের জন্ম হয়েছে।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “একবার ছাত্রলীগ, এখন শিবির? আদর্শ কোথায়!” অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, “দল ক্ষমতায় থাকলে ওরা ছাত্রলীগ, বিপদে পড়লে শিবির! এদের দিয়ে ইসলামী আন্দোলন কীভাবে সফল হবে?”
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ডিমলা উপজেলা শাখার সভাপতি রহমত আলীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এখনো পর্যন্ত জামায়াত বা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে স্থানীয় পর্যায়ে আলোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই ইমরান খানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা জামায়াত-শিবিরের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ও নেতৃত্বের সংকটকে উন্মোচন করেছে। আদর্শগত প্রশ্নে সদস্যদের অবস্থান স্পষ্ট না থাকলে ভবিষ্যতে সংগঠনের প্রতি আস্থা হারাবে তরুণ সমাজ।
জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত ৭ দফার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দাবি হলো বাংলাদেশে সংখ্যানুপাতিক ভোট পদ্ধতি চালুর দাবি, যাতে দলীয় প্রতিনিধিত্ব ভোটের অনুপাতে সংসদে প্রতিফলিত হয়। তবে এই পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা বিতর্ক রয়েছে।
ইমরান