ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা: ধর্ম উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ০০:৩১, ৭ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০০:৩২, ৭ জুলাই ২০২৫

আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা: ধর্ম উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “এতিম শিশুদের শুধুমাত্র ভরণ-পোষণ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যায় না। বরং তাদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এবং সমাজের সম্পদে পরিণত হয়।”

চট্টগ্রাম মহানগরীর তনজিমুল মোছলেমীন এতিমখানায় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তিনি বলেন, “এতিম লালন-পালনের প্রকৃত সার্থকতা তখনই আসে, যখন তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলা যায়। দুনিয়া ও আখিরাত—উভয় জগতের কল্যাণ নিহিত রয়েছে এতিম প্রতিপালনে। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যারা এতিমদের উপেক্ষা করে নিজের স্বাচ্ছন্দ্য খোঁজে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাদের মুমিন হিসেবে স্বীকৃতি দেননি।”

একটি হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মুসলমানদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ঘর হলো সেই ঘর, যেখানে এতিম রয়েছে এবং তার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা হয়। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ঘর হলো সেইটি, যেখানে এতিম থাকলেও তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়।”

তিনি আরও বলেন, “এতিমদের দেখভাল করা শুধু একটি সামাজিক দায়িত্ব নয়, বরং এটি ঈমানি ও নৈতিক কর্তব্য। আমাদের উচিত এই বরকতপূর্ণ কাজ থেকে পিছিয়ে না থাকা এবং উভয় জগতের সফলতা অর্জনে আন্তরিক হওয়া।”

এ সময় তিনি তনজিমুল মোছলেমীন এতিমখানা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলার যে প্রয়াস নেওয়া হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”

আসিফ

×