
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, এক ছাত্রনেতা সম্প্রতি জেলা সফরের সময় ভিড় দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে “১৬ বছরের সঙ্গে ৭ মিনিটের এক উক্তি” করেছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ তিনি ৫ আগস্টের পর থেকে সহনশীলতা, সহঅবস্থান ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির নীতিকথা বলে জনসাধারণকে জ্ঞান দিচ্ছেন। একই ব্যক্তি কীভাবে এমন ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিতে পারেন— তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ইশরাক।
তিনি বলেন, নিজেদের সবচেয়ে বড় শক্তি— যাদের সমর্থক, সহায়ক বা খুঁটি বলা যায় তাদের উদ্দেশ্য করে এ ধরনের মন্তব্য করলে ভুলে যাওয়া উচিত নয়, আমরা আপনাদের প্রতিপক্ষ নই। বরং এই সহায়ক শক্তির ওপর ভর করেই আন্দোলনের ভিত্তি তৈরি হয়েছে।
ইশরাক আরও বলেন, এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তির একক কৃতিত্ব নয়। এটি “হাসিনা খেদাও, হাসিনা পতন” একদফার আন্দোলন, যা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছে। আওয়ামী লীগ যেমন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে একচেটিয়া করে তুলেছিল, তেমনিভাবে যদি কেউ ২০২৪ সালের আন্দোলনের কৃতিত্ব নিজের নামে দাবি করতে চান, তবে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক বক্তব্যে আবেগপ্রবণ হয়ে ভুল হতে পারে, সেটি স্বাভাবিক। কিন্তু শহীদদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা এই আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন, নিখোঁজ হয়েছেন— তাদের আত্মত্যাগকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা একধরনের অন্যায়। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, নুরে আলম, শাওন, সুমন, পারভেজ, সোহেল, সুজন, জনি, চঞ্চল, জাকির, বুলবুল, নুরুসহ বহু শহীদ ও নিখোঁজ নেতার পরিবারের সামনে আপনি কি এই একই কথা বলতে পারবেন?
ইশরাক বলেন, কৃতিত্ব জোর করে নিজের নামে নেওয়ার এই দেউলিয়াপনার রাজনীতি দেশের মানুষ আগেও প্রত্যক্ষ করেছে। শহীদ, আহত ও নিখোঁজদের প্রতি সম্মান না দেখিয়ে, নিজেকে সবার চেয়ে বড় ভাবার মানসিকতা জনগণ মেনে নেবে না। আর যদি ধৈর্যচ্যুতি ঘটে, তবে জনগণ কাউকে ছুঁড়ে ফেলতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করবে না— এই সতর্কবার্তাও দিয়েছেন তিনি।
এম.কে.